দুবাই এখন মধ্যপ্রাচ্যের চতুর্থ ধনী শহর। ইউরোপের হিসেবেও এটি চতুর্থ ধনীর শহর। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগের কারণে দুবাই এই অবস্থানে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুবাইয়ে বর্তমানে ৮৬ হাজার মিলিয়নিয়ার, ২৫১ জন সেন্টি-মিলিয়নিয়ার এবং ২৩ জন বিলিয়নিয়ার বাস করেন।
লন্ডন, প্যারিস এবং মিলানের পরেই দুবাইয়ের অবস্থান। এই শহরগুলোতে যথাক্রমে ২ লক্ষ ১২ হাজার, ১ লক্ষ ৬৩ হাজার এবং ১ লক্ষ ২১ হাজার মিলিয়নিয়ার বাস করেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দুবাইয়ের মোট তরল সম্পদ বা লিকুইড ওয়েলথের পরিমাণ প্রায় ১.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন। যদি দুবাইয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে এটি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী শহর হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সাফল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শহরের নিরাপদ পরিবেশ, কম কর ব্যবস্থা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, ভালো আন্তর্জাতিক স্কুল এবং সারা বছর ধরে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম। এর পাশাপাশি দুবাইয়ের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং বিদেশি বিনিয়োগের ধারাবাহিক প্রবাহও এই সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছে।
দুবাইয়ের এই ক্রমবর্ধমান সম্পদ পেশাদার, বিনিয়োগকারী এবং ডিজিটাল যাযাবরদের আকৃষ্ট করছে, যার ফলে শহরের জনসংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। সরকারি তথ্যমতে, গত মাসে দুবাইয়ের জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল