একটি আক্রমণাত্মক ড্রোনের পরীক্ষা তদারকি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ সময় এই প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
কেসিএনএ’র প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ড্রোন উড়ছে এবং একটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহড়ায় ‘কুমসং সিরিজের ট্যাকটিক্যাল অ্যাটাক ড্রোন চমৎকার যুদ্ধক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং এতে কিম জং উন গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কিম বলেন, ড্রোন এখন একটি মূল সামরিক সম্পদে পরিণত হয়েছে এবং এটি সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের শীর্ষ অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ সময় তিনি নতুনভাবে চালু হওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি ড্রোন উৎপাদন সক্ষমতা বিস্তারের ও শক্তিশালীকরণের নির্দেশ দেন।
সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের বিশ্লেষক হং মিন বলেন, কিম জং উন ড্রোন প্রযুক্তিকে বিশ্বশক্তি হিসেবে অবস্থান তৈরি করার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।
উত্তর কোরিয়া প্রথম আক্রমণাত্মক ড্রোন উন্মোচন করে গত বছর এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সক্ষমতা উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান জোটের ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, যেসব উত্তর কোরিয়ান সেনা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে, তারা আধুনিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে—বিশেষ করে ড্রোন কীভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা শিখছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে।
সিউল জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ, ফ্রান্স২৪, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ