৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে কাশ্মীরে। অবশ্য এটা জেলা স্তরের নির্বাচন। ২৮০ সদস্য নির্বাচিত করবেন ভোটদাতারা। যদিও জেলা স্তরের নির্বাচন কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে আগামী পরশুর এই নির্বাচন ঘিরেই তৈরি হয়েছে প্রবল কৌতূহল। কারণ, এটাই হবে প্রায় সোয়া বছর আগে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম কোনো নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে প্রতিটি আসনে একদিকে আছে বিজেপি, অন্যদিকে বিরোধী জোট। যার মধ্যে ওমর আবদুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিডিপি এবং কাশ্মীরের অন্য দলগুলো আছে। কংগ্রেস তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। গুপকর জোটের ঘোষিত অবস্থান হলো, তারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধী। এবারের এই নির্বাচন শুধু যে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম নির্বাচন তাই নয়, আরও কিছু দিক থেকে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিরা কেউ প্রায় এক বছর, কেউ তারও বেশি সময় ধরে বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা একজোট হয়েছেন। এই প্রথমবার হাত মিলিয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। তাঁদের জোটে সিপিএমও আছে। তারা ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার বিরোধী।