পানশির বা পাঞ্জশিরের অর্থ পাঁচটি সিংহ। বলা যায় দশম শতকে এ প্রদেশে পাঁচ ভাই মিলে বন্যার পানি ধরে রেখেছিল একটি বাঁধ তৈরি করে। সেখান থেকেই এ প্রদেশের নাম পাঞ্জশির হয়। সুলতান মাহমুদ গজনির জন্য সেই বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল বলে কথিত আছে। সেই পাঁচ ভাইয়ের সম্মানে এই প্রদেশের নাম পড়ে পাঞ্জশির। এই এলাকার বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ। এই প্রদেশের অধিকাংশ মানুষ তাজিক। এই প্রদেশ প্রাকৃতিক একটি দুর্গ। চতুর্দিকে হিন্দুকুশ পর্বত। মাঝে এক টুকরো সমতল। এই কারণেই তালেবান এই এলাকায় এখনো ঢুকতে পারেনি। ১৯৯৬-এ যখন গোটা আফগানিস্তান প্রায় তালেবানদের দখলে, তখনো পাঞ্জশিরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন স্থানীয় নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনী। মাসুদকে বলা হতো পাঞ্জশিরের সিংহ। তার ছেলে আহমেদ মাসুদের বাহিনী এতো দিন পাঞ্জশির নিজের দখলে রেখেছিল।
এই পাঞ্জশের প্রদেশেই আফগানিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তালেবানদের তিন সপ্তাহের বেশি রুখে দেয় নর্দার্ন অ্যালায়েন্স।