যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীর জোর প্রচারণা চলছে। তবে দেশটিতে কে হোয়াইট হাউসে যাবেন তা নির্ধারণ করে মূলত ছয়টি রাজ্য। এ রাজ্যগুলোকে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ রাজ্য বলে উল্লেখ করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্ধারক রাজ্যগুলোতে জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা যায়, পেনসিলভেনিয়া এবং জর্জিয়া দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
রাজনৈতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস বলছে, গেল আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় ভোটের গড় অনুযায়ী কমলা হ্যারিসের প্রতি ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের সমর্থন ছিল। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ছিল ৪৬ দশমিক ২ শতাংশের। এর আগে জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থিতা থেকে সরে আসার কিছুদিন আগে ট্রাম্পের পক্ষে ছিল ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। আর বাইডেনের পক্ষে ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সে হিসাবে জনমত জরিপে ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা।
জরিপে দেখা যায়, উইসকনসিনে ৫০ শতাংশ ভোটার কমলা এবং ৪৪ শতাংশ সমর্থন করছেন ট্রাম্পকে। মিশিগানে কমলাকে ৪৮ শতাংশ এবং ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন ৪৩ শতাংশ ভোটার। অ্যারিজোনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দিতে চায় ৪৯ শতাংশ এবং কমলাকে চায় ৪৪ শতাংশ। জর্জিয়া এবং নেভাদায় কে জিতবে তা স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। এখানে হ্যারিসকে ৪৮ শতাংশ এবং ট্রাম্পকে পছন্দ করেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। পেনসিলভেনিয়ায় দুই প্রার্থীই ৪৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। অর্থাৎ নেভাদা, উইসকনসিন, মিশিগান এবং জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে হ্যারিস সামান্য এগিয়ে আছেন।
অন্যদিকে অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলিনায় এগিয়ে ট্রাম্প। পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে তারা দুজনই সমান সমান, যা হলো ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ সাতটি অঙ্গরাজ্যে উভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য ছিল উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে, যেখানে এই ব্যবধান হলো ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হ্যারিসের প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে মার্কিন তরুণরা। পাশাপাশি মধ্যবিত্তকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি।
এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে মেক্সিকো সীমান্ত, মুদ্রাস্ফীতি এবং অবৈধ অভিবাসননীতির মতো বিষয়গুলো। আগামী মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো নির্বাচনি বিতর্কে মুখোমুখি হবেন এ দুই প্রার্থী।