প্রবীণদের যথাযথ মূল্যায়ন করার মধ্যে একটি সমাজের কল্যাণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রবীণদের সঙ্গেই তোমাদের কল্যাণ ও বরকত আছে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৫৯; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২১০)
এ জন্য ইসলামে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবীণদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখানে সালাত আদায়ে বিশেষ সুবিধার কথা আলোচনা করা হলো—
দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে অক্ষম প্রবীণ ব্যক্তিদের সুবিধাজনকভাবে সালাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছে ইসলাম।
ইমরান বিন হুসাইন (রা.) বলেন, আমি অর্শ রোগে ভুগছিলাম। এ অবস্থায় রাসুল (সা.)-কে সালাত আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, ‘দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করো। যদি অক্ষম হও তবে বসে পড়ো।
যদি তাতেও অক্ষম হও তাহলে শুয়ে শুয়ে পড়ো।’ (বুখারি, হাদিস : ১১১৭)
এমনকি প্রবীণদের সম্মানে রাসুল (সা.) সালাত সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আল্লাহর কসম! আমি অমুকের কারণে ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। তিনি সালাতকে খুব দীর্ঘ করেন।
আবু মাসউদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে উপদেশ দিতে গিয়ে সেদিনের মতো এত অধিক রাগান্বিত হতে কখনো দেখিনি। অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে বিতাড়নকারী বা বিরক্তকারী আছে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সালাতে ইমামতি করবে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও বিপদগ্রস্ত লোকও থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৭০২)
ইমামতিতে প্রবীণদের অগ্রাধিকার।
ইমাম হওয়ার দিক দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রবীণদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের বলেন, আল্লাহর কিতাব কোরআন মাজিদের জ্ঞান যার সবচেয়ে বেশি এবং যে কোরআন তিলাওয়াত সুন্দরভাবে করতে পারে, সে-ই সালাতের জামাতে ইমামতি করবে। সুন্দর কিরাতের ব্যাপারে সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরতে অগ্রগামী সে ইমামতি করবে। হিজরতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সে-ই ইমামতি করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন