পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব ২০২৬ সালের (১৪৪৭ হিজরি) হজ যাত্রীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সব দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্যই এই নিয়মাবলী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, হজ করতে আসা সব দেশের নাগরিকদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং এমন কোনো রোগ থাকা চলবে না যা তাদের নিজেদের বা অন্যদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষত, নিম্নলিখিত গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের হজযাত্রা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অক্ষমতা: হার্ট, ফুসফুস, লিভার বা কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
সংক্রামক রোগ: সক্রিয় যক্ষ্মা বা হেমোরেজিক ফিভারের মতো সংক্রামক রোগ যা জনস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্নায়বিক বা মানসিক ব্যাধি: গুরুতর মোটর অক্ষমতা বা জ্ঞানীয় ক্ষমতা হ্রাসকারী স্নায়বিক বা মানসিক ব্যাধি।
গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগ: বার্ধক্যজনিত ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ), অথবা কেমোথেরাপি, বায়োলজিক্যাল বা রেডিওলজিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণকারী ক্যান্সার রোগীরা।
গর্ভবতী: যেকোনো পর্যায়ে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা।
সৌদি আরবে প্রবেশের আগে সকল হজযাত্রীকে অবশ্যই কোভিড-১৯, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও পীত জ্বর রোগগুলোর বৈধ টিকার সনদ জমা দিতে হবে।
সকল দেশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা তাদের হজযাত্রীদের সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মেডিকেল ফিটনেস নির্দেশিকা মেনে চলা নিশ্চিত করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল