ভারতের উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে একযোগে ১৭ টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) সমর্থিত এই নতুন জঙ্গি সংগঠনটির নাম ‘হরকত উল হার্ব ই ইসলাম’।
এসময় আটককৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিস্ফোরক দ্রব্য, শতাধিক মোবাইল ফোন, ১৩৫ টি সিমকার্ড, ল্যাপটপ, ৭.৫ লাখ রুপি, ১২০ টি অ্যালর্ম ঘড়ি, ২৫ টি রিভলবার, রকেট লঞ্চার, জেহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গেছে আত্মঘাতী হামলার পোশাক ও আইডি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকেই এই দুই রাজ্যে অভিযান শুরু করে এনআইএ। সঙ্গে ছিল উত্তরপ্রদেশের জঙ্গি দমন শাখা ও দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। অভিযানে নেমেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়।
জানা জায়, দিল্লিসহ উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। গত তিন-চার মাস ধরেই এই জঙ্গি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। যদিও এদিন জঙ্গিদের সন্ধানে অভিযানে নামলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারীদের।
পরে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এনআইএ’এর আইজি অলোক মিত্তাল জানান, ১৬ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লকেট লঞ্চারসহ প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে মুফতি সোহেল নামে স্থানীয় আমরোহা মসজিদের এক মৌলবীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ব্যক্তির সাথে বিদেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের প্রতিনিধির সাথেও যোগসাজশ রয়েছে।’
তিনি আও জানান, তাদের প্রস্তুতি দেখে মনে করা হচ্ছে দূর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মাধ্যমে ওই সংগঠনটি আত্মঘাতী হামলার ছক করছিল। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অন্য বিখ্যাত ব্যক্তিরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন