নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে সপ্তাহব্যাপী তাণ্ডবের পর অবশেষে তৎপর হল প্রশাসন।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নতুন করে সহিংসতা রুখতে প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দিল প্রশাসন (নবান্ন)।
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। রেল লাইনে নেমে ইঞ্জিন ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। চলন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনে ছোড়া হয় পাথর। এর পর একে একে মুর্শিবাদের বিভিন্ন স্টেশনে CAA বিরোধিতার নামে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ভাঙচুর চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রেলের একাধিক স্টেশন, কেবিন। যার জেরে প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ।
বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে কলকাতাতেও। বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পোড়ে একের পর এক বাস, গাড়ি, মোটরবাইক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬টি জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। প্রায় সপ্তাহখানেকের তাণ্ডবের পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি।
বিজেপির অভিযোগ, ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে সহিংস আন্দোলনকারীদের রোখার কোনও চেষ্টাই করেনি রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে রেল।
এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তি এড়াতে নতুন করে আর কোনও সহিংসতা চায় না রাজ্য। তাই জুম্মার নামাজের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলোকে। এমনকি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে কলকাতা ছাড়তে নারাজ মুখ্যসচিব। বৃহস্পতিবার তার বীরভূমের দেওচা পাঁচমি যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করেন তিনি। নবান্নে বসে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন মুখ্যসচিব। সূত্র: জিনিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম