পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন মোড়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একই দিনে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন তৃণমূলের আরও ৯ বিধায়ক, এক সাংসদ ও এক সাবেক সাংসদ। রাজনৈতিক মহল বলছে, নেতৃত্ব তো বটেই মারাত্মক চাপে তৃণমূলের সব স্তরেই নেতাকর্মী সমর্থকরা।
নির্বাচনের আগে কি মনোবল ভাঙতে শুরু করেছে তাদের? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলের পর পর নেতার ইস্তফা, কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যেই চমকপ্রদ দাবি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। ৭০-৮০ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আজ মেদিনীপুরের ‘শাহি মঞ্চ’এর দিকে নজর ছিল সকলের। এদিনের মঞ্চে বিপুল যোগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর অমিত শাহ দাবি করেন, “নির্বাচন আসতে আসতে দলে একাই থেকে যাবেন মমতাদি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বাংলার বুকে দাঁড়িয়েই বড় বার্তা দিয়ে গেলেন অমিত।
একদিকে যখন মেদিনীপুরে চলছে বিজেপির মহাসভা, তখন দলীয় কর্মীদের মন চাঙ্গা করতে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর দল পরিবর্তনে বীরভূমে কোনও প্রভাব পড়বে না। এরপরই তিনি দাবি করেন, বীরভূম জেলায় গত চার মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক