ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধের হিসাব মিলছে না। অভিযোগ, হাসপাতালের স্টোর থেকে চুরি গেছে বেশ কয়েকটি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। প্রভাব খাটিয়ে সিসিইউ-তে ডিউটিরত নার্সের কাছ থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে নিয়েছেন হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক- এমনটাই অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, ওই চিকিৎসক রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্যাথোলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে বানানো হয়েছে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন। আর সেটা ব্যবহার করেই ইঞ্জেকশন তুলে নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ মে স্বাস্থ্য দফতর রেমডেসেভির এবং টসিলিজুমাব, এই দু’টি ইঞ্জেকশনের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রস্তুতকারক সংস্থা এই দুটি ইঞ্জেকশন শুধু নার্সিংহোম ও কোভিড হাসপাতালকেই বিক্রি করতে পারবে। নেটমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, বেআইনিভাবে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন তুলে নেওয়া অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দেবাংশী সাহা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেডিকেল কলেজে ওই নামে এক মহিলা চিকিৎসক রয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই, আমি কিছু জানি না।’’
এ ঘটনায় নির্মল মাঝি নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা নির্মল মাজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোনে বলেন, ‘‘আমি শুনেছি ঘটনাটি, তদন্ত কমিটি হয়েছে মেডিকেল কলেজে। আমি শুনেছি, যে এটা করেছে সে ভুল স্বীকার করেছে। দিয়ে দেবেও বলেছে। এটা যদি করে থাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আমি যদি দেখি কেউ আমার নাম নিয়েছে, আমি এফআইআর করব।’’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা