বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁয় অবস্থিত পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ‘যাত্রী টার্মিনাল ভবন-১’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দরের ভারতীয় দিকে অবস্থিত পেট্রাপোলে আধুনিক মানের ‘যাত্রী টার্মিনাল ভবন-১’ এর উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ও নিশীথ প্রামাণিক এবং বাংলাদেশের নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বাংলাদেশ 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম. কে. দোরাইস্বামী, কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান প্রমুখ। এছাড়াও পেট্রপোলে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় বাণিজ্যিক (কার্গো) গেটেরও এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
আধুনিক মানের এই টার্মিনাল আয়তনে প্রায় ১৩০৫ বর্গ মিটার। এতে এক ছাতার নিচে থাকবে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দফতর। ৩২ ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪ টি কাস্টমস কাউন্টার। সেইসাথে ৮ টি সুরক্ষা সেবা কাউন্টারের ব্যবস্থাও আছে।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের মানুষের মনের মধ্যে একটা আশা ছিল যে ভারত সফরকালে তারা বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন। এবং ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তখন দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল যে এই পেট্রাপোল স্থলবন্দরে একটি কার্গো গেট বানানো হোক, এদিন তারও শিলন্যাস হল এবং শিগগিরি এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের এক মন, এক অভিমত, এক ভাবনা, এক পথ আছে এবং আমরা দুই দেশ এই পথ অনুসরণ করেই চলবো।’
বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এই উপহার বাংলাদেশকে দিল। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ ৫০ বছরের রক্তেলেখা সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বের নয়, ভ্রাতৃত্বের। এই সম্পর্ক শুধুই এগিয়ে যাওয়ার।’
দুইদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোল ২৪ ঘণ্টা খুলে রাখা যায় কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন হল, আমরাও যদি বেনাপোলের দিকে অনুরূপ সুবিধা দিতে পারি, যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা বা কার্গোর নিরাপত্তা দিতে পারি- আমাদের দিকের পরিষেবাও যখন শীর্ষ পর্যায়ে যাবে সেক্ষেত্রে এই স্থলবন্দরও ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা যেতে পারে।’
ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হবে কি না তা করোনা নিয়ন্ত্রণের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি। তার অভিমত বাংলাদেশ এখনও যুক্তরাজ্যের রেড লিস্টে (লাল তালিাকাভুক্ত) কিন্তু ভারত ওই তালিকায় নেই। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে যেতে পারিনি। এই বিষয়টি নির্ভর করে আমরা কতটা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি তার ওপর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল