দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বস্ত করলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি। তার অভিমত বিএনপিকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তরফে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার ফুলেশ্বর নামক জায়গায় বেসরকারি হাসপাতালের একটি অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশের ঠিক সেভাবে নির্বাচন হয় ও হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য ইসি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা কামনা করেছেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে যে ১১ টি রাজনৈতিক দল রয়েছে, তারা বলেছে যে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে না। তারা বলেছে যে একটি নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সেই ব্যবস্থা নেই। আমরা যেটা নিশ্চয়তা দিতে পারি সেটা হল নির্বাচন খুব সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ হবে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ভোট দিতে পারবে, যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে। এই নীতির ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার এই নির্বাচন পরিচালনা করবে না, এটা করবে ইসি।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া পিকে হালদারের বিচার চলছে কলকাতার আদালতে। ঠিক সে সময়ই পশ্চিমবঙ্গের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই দুই ইস্যু নিয়ে শাজাহান খান বলেন, দুর্নীতি সব দেশেই আছে। কোথাও কম, কোথাও বেশি। এখানে সুবিধাটা হলো আমাদের দুই দেশের সীমান্তের দুই পারেই বাংলা। যে কারণে দুই দেশের মানুষ আইনগতভাবে এবং অবৈধভাবে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দুর্নীতি করে যারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসছে তাদের ক্ষেত্রে দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা তারা ভুলে যায়। পিকে হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি করে এখানে পালিয়ে আসছে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি করে পালানোর সুযোগ পাননি। এখানে তিনি ধরা পড়ে গেছেন।
পিকে হালদারকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেন শাজাহান খান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষদের উন্নততর চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধার কথা ঘোষণা করছে সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, একই ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদেরকেও। এই মর্মে এই দিন একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. সুভাশিষ মিত্র এবং সংসদ সদস্য শাজাহান খান এমপির মধ্যে।
এর পাশাপাশি এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের আত্মীয় পরিজনদের থাকার জন্য হাসপাতালের কাছেই একটি অতিথিশালাও গড়ে তোলা হয়েছে যেটিরও এদিন উদ্বোধন করেন শাজাহান খান এমপি। এদিন হাসপাতালটিও ঘুরে দেখেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন