শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ ছিল পকেট কমিটি

-শামসুল হক

আওয়ামী লীগ ছিল পকেট কমিটি

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার বলেছেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ছিল এমপি মোশাররফ হোসেনের পকেট কমিটি। দলের প্রতিবাদী কয়েক নেতা ছাড়া সবাই ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পকেটের লোক। বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা নেতাদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই দিয়ে                  রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার রাজনীতি নির্বিঘ্ন করতে নানা অর্থনৈতিক অপকর্মে জড়িত হন। তার ছাত্রচ্ছায়ায় অনুসারীরা ফরিদপুর শহরকে নরকে পরিণত করেছিলেন। সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, চাঁদাবাজি, হামলা-মামলা এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তার প্রাইভেট বাহিনী করেনি। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে মোশাররফ হোসেনের অপকর্মের সহযোগীরা কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকেই এখনো গ্রেফতার হননি। বর্তমানে আওয়ামী লীগে অচলাবস্থা চলছে। শামসুল হক বলেন, যে কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছিলেন, সে কমিটি পুনর্গঠনের সময় এমন অনেকেই স্থান পান যারা বিএনপিসহ অন্যান্য দল থেকে এসেছেন এবং জি হুজুর করে সেই বিতর্কিত নেতার পা ধরতে পেরেছেন। ফলে দলের সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতারা পদবঞ্চিত হয়েছেন। পদে পদে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। যারা নানা উপায়ে অঢেল অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তাদের অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সুনাম ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং তার ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবর। তাদের আইনের আওতায় আনা হলেই শুদ্ধি অভিযান সফল হবে। ভোলা মাস্টার বলেন, যারা জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে কলঙ্কিত করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনতে হবে। তা হলেই মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। আমরা শুদ্ধি অভিযানের জন্য দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা কোনো অন্যায় প্রশ্রয় দেন না, তিনি দলের যত বড় নেতা, এমপি-মন্ত্রী হোন না কেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর