রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকার একটি বাসা থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেল (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কলাবাগান থানার ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গতকাল সকালে শুক্রাবাদের ৭২/১ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলার ঠিকাদারি না পেয়েই আত্মহত্যা করেছে রুবেল। তার বাড়ি বরিশালের হিজলা থানার হরিনাথপুরে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। মৃত রুবেলের স্ত্রী লাবনী আক্তার বলেন, গতকাল সকালে তিনি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এক ফাঁকে রুমে গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রুবেল ঝুলছে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে
চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট ভাই ওসমান গনি জানান, তার বড় ভাই রুবেল সিটি করপোরেশনের ময়লার টেন্ডার পেয়ে সেই কাজ করতেন। টেন্ডারটি জোরপূর্বক ১৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি শিশির দুয়ারী নিয়ে নেন এবং রুবেলকে টেন্ডার ছেড়ে দিতে বলেন। এ নিয়ে তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন স্থানীয় সজীব, শিমুল, শিশিরসহ কয়েকজন। রুবেল আর কয়েক মাস পর টেন্ডার ছেড়ে দেবেন বলে শিশিরদের জানিয়েছিলেন। কেননা রুবেল ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এসব নিয়ে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন তিনি। সব সময় বলতেন, এখন আমি কী করব, কীভাবে টাকা উপার্জন করব, ঋণ শোধ দেব কীভাবে? এ কারণে রুবেল আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা ছোট ভাইর গনির। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশি জানান, কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, এর আগে আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেল নামে ছাত্রলীগের এই নেতা ৯ জুন শুক্রাবাদে ময়লার বিল নেওয়ার জন্য দরজায় লাথি মেরে রহিমা বেগম (৭৩) নামে বৃদ্ধার মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছিলেন। তখন আহত বৃদ্ধার ছেলে মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, পাশের বাসায় ময়লার টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সেখানে তর্কাতর্কি হয়েছে।
আমাদের বাসার কলিং বেলও চেপেছিলেন রুবেল। মা দরজা খুললেও দরজায় লাথি দেন রুবেল। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আসলে রুবেল ক্ষমা চেয়ে চলে যান।
