খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিক পাড়ার নিজ বাসা থেকেই নিখোঁজ হন গৃহবধূ রহিমা বেগম। তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবার গত ১৫ দিন ধরে তাদের মাকে খুঁজছেন হন্যে হয়ে। খুলনা ও ঢাকায় করেছেন মানববন্ধন। নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি ও মামলাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। মামলায় আসামি গ্রেফতার হলেও এখনো মায়ের সন্ধান পাচ্ছেন না সন্তানরা। গতকাল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে নিখোঁজের সন্তানরা। মানববন্ধনে নিখোঁজ রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আশ্চর্য ঘটনা একটা মানুষ অদৃশ্য হয়ে গেল। এখনো তার খোঁজ মেলেনি। তবে মাকে নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি তার মায়ের সন্ধান চান যে কোনো উপায়ে। এই মানববন্ধনে নারী পক্ষের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে টিউবওয়েলের পানি আনতে দোতলা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। দীর্ঘসময় পরও তিনি ঘরে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে নলকূপের পাশে রহিমা বেগমের ব্যবহৃত ওড়না ও স্যান্ডেল দেখতে পান তারা। সেই রাতেই মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় যান সন্তানরা। জিডি করা হয় নগরীর দৌলতপুর থানায়। একই দিনে মেয়ে আদুরী আক্তার বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মেয়ে মরিয়ম জানান, আমার মা রহিমা বেগম ফৌজদারি মামলার বাদী ছিলেন। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিত। এমনকি আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আসামিরা। ভাঙচুরের দিন আমার মাকে আসামিরা মারধর করে। যাদের পুলিশ ও র্যাব আটক করেছে তারা আমাদের প্রতিবেশী। এদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছিল। খুলনার দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। টেকনোলজিও ব্যবহার করে কাজ করছি। যেহেতু সব ডিপার্টমেন্ট একসঙ্গে চেষ্টা করছে, আশা করি খুব দ্রুত রহিমাকে উদ্ধার করতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাকে অপহরণ ধরে নিয়েই উদ্ধারের চেষ্টা করছি। উদ্ধার হলে জানা যাবে, সে আত্মগোপনে ছিল নাকি অপহরণ করা হয়েছে।
শিরোনাম
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
- ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন