রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাসা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান চান মেয়েসহ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান চান মেয়েসহ পরিবার

মানববন্ধনে গতকাল কান্না

খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিক পাড়ার নিজ বাসা থেকেই নিখোঁজ হন গৃহবধূ রহিমা বেগম। তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবার গত ১৫ দিন ধরে তাদের মাকে খুঁজছেন হন্যে হয়ে। খুলনা ও ঢাকায় করেছেন মানববন্ধন। নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি ও মামলাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। মামলায় আসামি গ্রেফতার হলেও এখনো মায়ের সন্ধান পাচ্ছেন না সন্তানরা। গতকাল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে নিখোঁজের সন্তানরা। মানববন্ধনে নিখোঁজ রহিমা  বেগমের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আশ্চর্য ঘটনা একটা মানুষ অদৃশ্য হয়ে গেল। এখনো তার খোঁজ মেলেনি। তবে মাকে নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি তার মায়ের সন্ধান চান যে কোনো উপায়ে। এই মানববন্ধনে নারী পক্ষের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে টিউবওয়েলের পানি আনতে দোতলা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। দীর্ঘসময় পরও তিনি ঘরে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে নলকূপের পাশে রহিমা বেগমের ব্যবহৃত ওড়না ও স্যান্ডেল দেখতে পান তারা। সেই রাতেই মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় যান সন্তানরা। জিডি করা হয় নগরীর দৌলতপুর থানায়। একই দিনে মেয়ে আদুরী আক্তার বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মেয়ে মরিয়ম জানান, আমার মা রহিমা বেগম ফৌজদারি মামলার বাদী ছিলেন। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিত। এমনকি আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে আসামিরা। ভাঙচুরের দিন আমার মাকে আসামিরা মারধর করে। যাদের পুলিশ ও র‌্যাব আটক করেছে তারা আমাদের প্রতিবেশী। এদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছিল। খুলনার দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। টেকনোলজিও ব্যবহার করে কাজ করছি। যেহেতু সব ডিপার্টমেন্ট একসঙ্গে চেষ্টা করছে, আশা করি খুব দ্রুত রহিমাকে উদ্ধার করতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাকে অপহরণ ধরে নিয়েই উদ্ধারের চেষ্টা করছি। উদ্ধার হলে জানা যাবে, সে আত্মগোপনে ছিল নাকি অপহরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর