শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিক্রি ও ভিড় বাড়বে আজ

মোস্তফা মতিহার

বিক্রি ও ভিড় বাড়বে আজ

গতকাল ১৬তম দিনে বাংলা একাডেমির বইমেলা ছিল অনেকটাই ছিমছাম। ভিড় ছিল কম। স্বাভাবিকভাবে বিকিকিনিও কম ছিল। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ায় এ অবস্থা থাকবে না। সকাল-বিকাল এবং সন্ধ্যা জমজমাট থাকবে প্রচণ্ড ভিড়ে।

কিছু সমস্যা সম্পর্কে রোদেলা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রিয়াজ খান বলেন, মানুষ মেলায় এলেও বই না কেনার কারণ মেলায় ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করা হয়, কিন্তু অনলাইনে ক্রেতারা ৩০ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারছেন।

মেলার বিক্রির গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রকাশকরা কেন অনলাইনের মতো ৩০ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করতে পারছেন না- এ প্রশ্নের জবাবে রিয়াজ খান বলেন, ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রির বিষয়ে বই বাংলা একাডেমি নীতিমালা বেঁধে দিয়েছে। ইচ্ছে করলেই প্রকাশকরা ৩০ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করতে পারেন না। বাংলা একাডেমি যদি কমিশনের এ নিয়ম পরিবর্তন করে, তাহলে বই বিক্রিতে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বিকালে মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর মাণ্ডা থেকে আগত রাজীব মাসফির সঙ্গে। সপরিবারে তিনি মেলায়। পরিবেশ কেমন লাগছে জানতে চাইলে এই তরুণ বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। ছিমছাম পরিবেশ। প্রশস্ত রাস্তা।’ কী বই কিনলেন জানতে চাইলেন এই তরুণ পাঠক বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের পুরনো কিছু বই কিনেছি। এ ছাড়া বাচ্চাদের জন্য ভূতের বই, ঠাকুরমার ঝুলি, ডাইনোসরের কাহিনি ও কার্টুনের বই কিনেছি।’ এই বইপ্রেমী আরও বলেন, ‘সব কেনা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে নতুন বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করেছি। মেলার শেষ সপ্তাহে আরেকদিন এসে বাকি বইগুলো কিনব।’

নতুন বই : গতকাল ১৬তম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৮৩টি। এর মধ্যে আছে গল্পের বই ১৮টি, উপন্যাস সাত, প্রবন্ধ দুই, কাব্যগ্রন্থ ৩৩, গবেষণা তিন, শিশুসাহিত্য এক, জীবনী পাঁচ, মুক্তিযুদ্ধ দুই, নাটক এক, বিজ্ঞান তিন, ইতিহাস এক, রম্য/ধাঁধা এক, ধর্মীয় দুই, অভিধান এক, সায়েন্সফিকশন এক ও অন্যান্য দুটি। গত ১৬ দিনে মোট নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে ১ হাজার ৬৬২টি।

মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকেন্দ্রীকরণ’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফরিদ আহমদ দুলাল। আলোচনায় অংশ নেন মাহমুদ কামাল, নজিবুল ইসলাম এবং সাজ্জাদ আহসান। সভাপতিত্ব করেন অনীক মাহমুদ।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আমিনুর রহমান সুলতান, আয়শা ঝর্না, শিহাব শাহরিয়ার, অংকিতা আহমেদ রুবি ও ফরিদুজ্জামান। আবৃত্তি করেন সৈয়দ শহীদুল ইসলাম, জেসমিন বন্যা ও নূরুননবী শান্ত। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠী’ এবং ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’। এককসংগীত পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন, সেলিম চৌধুরী, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শ্যামল কুমার পাল, সনৎ কুমার বিশ্বাস, মেহেরুন আশরাফ, বাবু সরকার এবং মো. আরিফুর রহমান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর