অপরূপ সৌন্দর্য, চোখ রাঙানো রং আর ঘ্রাণে যে কেউ সহজেই মুগ্ধ লিলিয়াম ফুলে। আর সে কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদার শীর্ষে আছে লিলিয়াম ফুল। শীতপ্রধান দেশে এই ফুল উৎপাদন হলেও বরেন্দ্রের লালমাটিতে এখন পাওয়া যাবে এই ফুল।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ীতে ফুলপ্রেমী হাসান জুবেরির বাগানজুড়ে ফুটেছে রাজসিক সৌন্দর্যের ফুল লিলিয়াম। জুবেরির ড্রিমার্স গার্ডেনে গিয়ে দেখা যায় শত শত লিলিয়াম সারি সারি ফুটে আছে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, শখের বশেই গড়ে তুলেছেন ফুলের বাগান। সেখানেই টিউলিপের পাশাপাশি এবার তিনি লিলিয়াম ফুটিয়েছেন। গুটিকয় দেশ ছাড়া দৃষ্টিনন্দন লিলিয়াম ফুলের দেখা মেলা ভার। এবার সেই লিলিয়াম তার রূপের শোভা ছড়াচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে। ড্রিমার্স গার্ডেনের পরিচালক হাসান জুবেরি নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করেন সেই ফুলের টিউব। অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু করেছেন চাষাবাদ।
তিনি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের সর্বত্রই আমের বাগানে পূর্ণ। কিন্তু সেই আমবাগানের নিচের জায়গাগুলো সারা বছর অব্যবহৃত থাকে। এই পতিত জায়গাগুলো কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই তার এমন চিন্তা আসে। আর সে অনুযায়ীই এমন উদ্যোগ। এবার তিনি দেড় হাজার লিলিয়াম টিউব রোপণ করেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার এশিয়াটিক এবং ৫০০ ওরিয়েন্টাল। জুবেরি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় বড় পরিসরে শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হয়নি। কাছের কোনো মানুষই বিষয়টি সমর্থন দেননি। আমবাগানের নিচে ফুলের বাগান বিষয়টিকে নানাজন নানা নেতিবাচক হিসেবে বুঝতেন। তবু মনের সঙ্গে একপ্রকার জেদ ধরেই কাজে নেমে পড়া। আশা করছি সফলতার মুখ দেখতে পারব। গত বছর কয়েক প্রজাতির টিউলিপের ১ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছিল। সেটি সফল হওয়ায় এবার টিউলিপের পাশাপাশি লিলিয়াম ফুল রোপণ করা হয়। এখন পর্যন্ত ফল ভালো। ফুল আসাও শুরু হয়েছে।রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে গত বছর টিউলিপ চাষ হয়েছিল। এবার লিলিয়াম হয়েছে। এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের সম্ভাবনা আছে।
