বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিটি নির্বাচনে নানা অঙ্ক

স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন না ডাবলু লিটনকে ঘিরেই প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনয়ন বঞ্চিতরা দলের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামবেন কি না বা কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন কি না, এ নিয়ে নেতা-কর্মীরাও আছেন সংশয়ে। বিশেষ করে প্রার্থী ঘোষণার পর নগর আওয়ামী লীগের দুটি কর্মসূচিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তাদের অনুসারীদের দেখা যায়নি। ফলে এবারের সিটি নির্বাচনে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও তাদের সংখ্যা সামান্যই বলছেন স্থানীয় নেতারা। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন তাদের গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং বিতর্কমুক্ত কি না সেটা বিবেচনা করেই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। শুরুতে কিছুটা বিভেদ থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। আওয়ামী লীগ করতে হলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, যোগ্যতা, দক্ষতা, জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন জরিপ বিবেচনায় নিয়ে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চতুর্থবারের মতো দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। লিটনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিছিল হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রবিবার বিকালে নগরীর রানীবাজারে খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। এর আগের দিন কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। সেখানে দলীয় মনোনয়ন ও ভোটের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন খায়রুজ্জামান লিটন। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের এ দুটি কর্মসূচিতে ছিলেন না কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও সহসভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। তারা দুজনই রাজশাহী সিটি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে লিটনকে মনোনয়ন দেওয়ার পর এখন তাকে ঘিরেই প্রস্তুতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও কোনো কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি ডাবলু সরকার, সহসভাপতি মীর ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনকে। কয়েক দিন ধরে নানাভাবে তাদের জড়িয়ে হুমকিমূলক প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে এ নির্বাচনে ডাবলু দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন, নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

যদিও ডাবলু সরকার জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। ডাবলু সরকার বলেন, ‘দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কারণ, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ায় তাকে হয়তো দল বৃহত্তর কোথাও ভাবনায় রাখতে পারে। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর সেই পাট চুকে গেছে। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। আওয়ামী লীগের হয়েই কাজ করব।’ এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে আমি আশা করি, যারা আওয়ামী লীগ করে তারা সবাই নৌকার পক্ষে একযোগে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও ২০১৩ ও ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটনের বিপক্ষে কেউ দলীয় মনোনয়ন চায়নি।

সর্বশেষ খবর