চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী রয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে গতকালও সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। এতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, চবি ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষ নিজেদের চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং অন্য পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার গতকাল বিকালে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। র?্যাব আমাদের সহায়তা করতে এসেছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করব অল্প সময়ের মধ্যেই।চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কোনো শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমি অনেকবার প্রক্টরকে অনুরোধ করেছি ব্যবস্থা নিতে। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে প্রক্টর বা পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে এটাই স্বাভাবিক। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদাফ খান বলেন, ‘বুধবার ঝামেলা মিটমাট হয়। কিন্তু সিক্সটি নাইনের কর্মীরা প্রক্টরের সামনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমাদের এক কর্মীকে আহত করেছে।’
চবি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. শুভ গতকাল বিকালে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জন আহত শিক্ষার্থী মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ায় জন্য এসেছে। আমরা সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কুপিয়ে জখম করা কয়েকজন রয়েছে। উভয় পক্ষের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে আঘাতে আহত হয়েছেন প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার, সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মী। উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংবাদপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৪ বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কমপক্ষে প্রায় ৪০০ বারের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।