চলমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতিফলন থাকতে হবে। বাজেটে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, এই তিনটি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আসন্ন জাতীয় বাজেট কেমন হওয়া উচিত, এ বিষয়ে গত সোমবার বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের এ বরেণ্য অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, টানা চতুর্থ দফা ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট। এ ছাড়া এবারের প্রেক্ষাপটটাও ভিন্ন। বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা, যেমন- অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে অন্য কর্মকর্তারাও নতুন। এর সঙ্গে রয়েছে বৈশ্বিক বৈরিতা। তিনি যোগ করেন, এর পাশাপাশি আমাদের দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও কঠিন এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। আমরা যদি বলি, সামষ্টিক অর্থনীতি ঠিক আছে, তবে সেটা ভুল বলা হবে। কেননা, সেটা তো বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। পরিস্থিতি যদি ঠিকই থাকে তাহলে ডলার বাজারের এমন পরিস্থিতি কেন? রাজস্ব আদায় কেন বাড়ে না? ব্যাংকে কেন টাকা নেই? রিজার্ভের পতন কেন ঠেকানো যাচ্ছে না? এসব বিষয়কে বাজেটের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ এসব সংকট সমাধানের পথ দেখাতে হবে বাজেটে। আগামী বাজেটে অগ্রাধিকারের বিষয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, প্রথমত, ডলার সংকটের জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সামগ্রিক অর্থনীতির কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। এবং সেগুলো লোক দেখানো কিংবা দায়সারা নয়। হতে হবে কার্যকর সংস্কার। দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের দুর্দশা কাটাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় বিনিয়োগকারী, সঞ্চয়কারী কারোরই আস্থা ধরে রাখা যাবে না। এ ছাড়া আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, সেটার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার যেসব নির্দেশনা থাকবে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি ও বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন বাস্তবতা আমাদের সামনে চলে আসবে। সেগুলো মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে এই বাজেটেও। তৃতীয়ত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্দশা কাটাতে হবে। এখানে কোনো রকম টেকসই পরিকল্পনা বা প্রকল্প নেই। যা নেওয়া হয়েছে এর বেশির ভাগই তাৎক্ষণিক বিপদ সামলানোর উদ্যোগ। ফলে আমাদের একটা টেকসই জ্বালানি খাত গড়ে তুলতে হবে। আর মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তাদের জন্য আলাদা কিছু করতে হবে। তাদের দেশের অর্থনীতির মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এজন্য ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পসহায়ক পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। আর এই পরিকল্পনা কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী বাজেট থেকেই।
শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা