শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৪ আপডেট:

ইলিশ এখন বিলাস

জিন্নাতুন নূর
প্রিন্ট ভার্সন
ইলিশ এখন বিলাস

জেলেরা ধরার পর অন্তত তিন-চার হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছায় মাছের রাজা ইলিশ। প্রতিটি হাত অন্তত ১০০ টাকা লাভ রাখায় মূল দামের চেয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে মাছটি সাধারণ ক্রেতাকে কিনতে হয়। জেলেদের হাত ঘুরে একটি ইলিশ যখন ঢাকার বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন তখন তাতে বিক্রেতারা ৭০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। অনলাইনে তারা হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। গত এক সপ্তাহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার মাছের আড়ত, জেলে, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে মাছের দাম বৃদ্ধির পেছনের বেশ কয়েকটি কারণ। দাম বৃদ্ধির পেছনে সক্রিয় আছে সিন্ডিকেট। বাজার মনিটরিং না থাকায় মাছ বিক্রেতারাও ইচ্ছেমতো ইলিশের দাম বাড়াচ্ছেন। আবার সাগর এবং নদীতে ইলিশ আহরণকারী একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ইলিশের মৌসুমে সাগর বা নদীতে মাছটির উপস্থিতি অনেক কম। ফলে মাছ কম ধরা পড়ায় ঢাকার বাইরে থেকেই ব্যবসায়ীদের বাড়তি দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে আর ঢাকার বাজারে এসে এর দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে জেলেরা জালের দাম, নৌকার জ্বালানিসহ অন্য খরচ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেয়ে বাড়তি দামে মাছটি বিক্রি করছেন।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বিশ্বের বেশির ভাগ ইলিশ আহরণকারী দেশ বাংলাদেশ। একসময় সুস্বাদু এ মাছটি দেশের মানুষের নাগালের মধ্যে থাকলেও কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত দামের কারণে ইলিশ এখন সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। সাধারণত ইলিশের ভরা মৌসুম জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। এবার ভরা মৌসুমেও সাধারণ মানুষ দামের উত্তাপে মাছটি পাতে তুলতে পারছে না। বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধর পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, জেলের জালে ধরা পড়া ইলিশ তিন থেকে চার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে আসে। এসব জায়গায় দামের পার্থক্যের কারণে বাজারেও এর দাম ওঠানামা করে। এ ছাড়া সমুদ্র-মোহনা থেকে ধরা মাছ আর নদীর উজানের মাছের ক্ষেত্রেও দামে কিছুটা পার্থক্য আছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা ইলিশ সাধারণত চারটি ভাগে বিক্রি হয়। এর মধ্যে ১ কেজি বা এর বেশি সাইজের ইলিশের পাইকারি দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা; যা একই বাজারে পরে ১৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এরপর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশের পাইকারি দর ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা; যা পরে খুচরা বাজারে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের পাইকারি দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খুচরায় ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি। জাটকা বা ছোট সাইজের ইলিশ পাইকারি ৫০০ এবং খুচরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে দুই বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি ইলিশের দামে বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোর পাশাপাশি সুপার শপ এবং ফেসবুকের বেশ কয়েকটি পেজেও ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের তুলনায় অনলাইনে ইলিশের দাম আরও বেশি। সুপার শপ ‘স্বপ্ন’য় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিসের দাম ৭৯৫ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের দাম ১৩৫০ টাকা এবং ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজির দাম ২০৯০ টাকা।

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবার প্রথমে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে না বলে জানালেও পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়। মাছ বিক্রেতার অনেকেই ইলিশের দাম বাড়ার জন্য ভারতে রপ্তানির যুক্তি তুলে ধরেন।

সক্রিয় সিন্ডিকেট : ইলিশ মাছের বাজারের উচ্চমূল্যের জন্য কেউ কেউ সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। আড়তে আসা ইলিশ যাচ্ছে ফ্রিজিং করে মজুতদারদের ঠান্ডা গুদামে। এর সঙ্গে সক্রিয় আছেন মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ইলিশের দাম কেমন হবে তা সকালে নির্ধারণ করে দেয় মোকাম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। বিক্রি না হলে তা ফ্রিজিং করে রাখা হয়।

প্রতি ইলিশে লাভ ৭০০ টাকা পর্যন্ত : ভরা মৌসুমের পরও বাজারে ইলিশের অতিরিক্ত দামের জন্য সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে দেখা যায়, আড়তদারদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকায় কেনা ইলিশ বিক্রেতারা ভোক্তার কাছে বিক্রি করছেন ২ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ একটি ইলিশেই ৭০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন ব্যবসায়ী। ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরে দেশের বিভিন্ন ইলিশের বাজার ও আড়তে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ঢাকার কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ীর পাইকারি মাছের আড়তে অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটির দুটি বিশেষ টিম। অভিযানে ইলিশ বিক্রির আড়তে মাছ ক্রয়সংক্রান্ত কোনো প্রকার তথ্য বা ক্যাশ মেমো পাওয়া যায়নি। পাইকারিতে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ কিনে খুচরা ২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। এমন অপরাধে পাঁচ আড়তদারকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চালানো অভিযানে দেখা যায়-মনপুরা, ভোলা, মহীপাল, ফেনী, চাঁদপুর ও পাথরঘাটা থেকে ইলিশ মাছ যাত্রাবাড়ী বাজারে আসে। ১ কেজি ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা প্রতি কেজি, ১ কেজি সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতি কেজি, ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা প্রতি কেজি, ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৯০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি পর্যায়ে। কমিশন এজেন্ট ৩ শতাংশ হারে রাখা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী পাকা রসিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছেন না। মূল্য তালিকাও প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির খবরেও ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দেন বলে জানা যায়।

তিন-চার হাত বদলে ভোক্তার কাছে পৌঁছে ইলিশ : বরিশাল প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে, জেলেদের ধরার পর অন্তত তিন-চার হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছায় ইলিশ মাছ। প্রতি হাত অন্তত ১০০ টাকা লাভ রাখায় মূল দামের চেয়ে ভোক্তাকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়। মেঘনা নদীর বরিশালের হিজলা উপজেলার বাসিন্দা জেলে হাসান হাওলাদার জানান, তারা নদী থেকে মাছ ধরার পর ঘাটে নিয়ে আসেন। সেখানে পাইকাররা ডাক দিয়ে মাছ কিনে নেন। এখানে মাছের সাইজ এবং ওজন ভেদে কোনো ভাগ করা হয় না। সব মাছ একসঙ্গে রাখা হয়। পাইকাররা মাছের মধ্যে ১ কেজি কিংবা তার চেয়ে ছোট মাছ কয়টি আছে, জাটকা কী পরিমাণ তা দেখেন। পরে খুচরা বাজারে যে দামে বিক্রি হয় তার চেয়ে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কম ধরে দাম হাঁকেন। খুচরা বাজারে ১ কেজি সাইজের ইলিশ যদি ১২০০ টাকা হয়, তাদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা দরে কেনেন। ওই মাছ কিনে তারা ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশালের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যান। সেখান থেকে অন্য পাইকাররা কিনে নেন। দেশের বিভিন্ন বড় বাজারের পাইকররা সেখান থেকে কিনে নেন। তাদের কাছ থেকে কিনে নেন খুচরা বিক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে কেনেন ভোক্তারা। প্রতিটি হাত সর্বনিম্ন ১০০ টাকা লাভ করে। মেঘনা নদীর তীরের মাছঘাটের মালিক আলতাফ জমাদ্দার বলেন, ‘জেলেরা আমাদের কাছ থেকে দাদন নেন। নদী থেকে মাছ শিকারের পর আমাদের ঘাটে নিয়ে আসেন। ঘাটে থাকা পাইকাররা দাম হাঁকেন। জেলেদের পছন্দ হলে বিক্রি করেন। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।’ একই কথা বলেন বরিশাল সদর উপজেলার লাহারহাট এলাকার বেদে সরদার মো. জসিম। তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে যাই। সেখানে থাকা পাইকার ঠিকা (অ্যাভারেজ) দাম হাঁকেন। পছন্দ হলে দিয়ে দিই।’ জসিম সরদার বলেন, তাদের কাছ থেকে পাইকাররা কেজি দরে মাছ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, কেজির নিচে এলসি সাইজ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, আধা কেজি ওজন সাইজ ১ হাজার টাকা ও জাটকা ৩০০ টাকা দরে কিনে নেন। গত শুক্রবার বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড বাজারে পাইকারিতে ১ কেজি সাইজের ইলিশ মাছ ১৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে তার দাম ছিল ২ হাজার টাকা। এলসি সাইজ পাইকারিতে ১৭০০, যা খুচরা বাজারে ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাইকারি বিক্রেতা নাইম সিকদার বলেন, বর্তমানে বাজারে ইলিশ মাছ নেই, তাই দাম বেড়েছে।

ঢাকা-পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে মাছ নিচ্ছেন : দেশের সর্বাধিক ইলিশ আহরণ হয় কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগর উপকূলে। গত এক সপ্তাহে জেলেদের জালে অন্তত ৭৪৩ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে এর পরও স্থানীয় বাজারে রয়েছে ইলিশের সংকট, যার কারণে বেশি দামে ইলিশ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে কক্সবাজার উপকূল থেকে ৩ হাজার ৭১১ মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ আহরণ করা হয়। এর মধ্যে ইলিশ ৭৪৩ মেট্রিক টন। খুচরা মাছ ব্যবসায়ী মো. হোছনের সঙ্গে কথা হয় মৎস্য কেন্দ্রে। তিনি বলেন, তিন হাত বদলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ইলিশ বিক্রি হয়। বোট থেকে আড়তদার ১ কেজি সাইজের ইলিশ কেনেন ১৫০০-১৬০০ টাকায়, যা পরে পাইকারকে ১০০-১৫০ টাকা লাভ ধরে বিক্রি করেন ১৭০০-১৮০০ টাকায়। সেভাবেই দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে ২০০-৩০০ টাকা বাড়তি আদায় করে ব্যবসায়ী-আড়তদার সিন্ডিকেট। বিক্রেতারা বলছেন, বছরের এ সময় ইলিশের দাম কিছুটা পড়তির দিকে থাকার কথা, কিন্তু দাম কমছে না। মূলত ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের বড় মাছ ব্যবসায়ীরা চড়া দামে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্থানীয় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম।

খরচ জোগাতে দাম বেড়েছে : ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও নদনদীগুলোয় পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ায় চাঁদপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাটের আড়তে বাড়েনি সরবরাহ। চাহিদা বেশি ও সরবরাহ কম থাকায় প্রতি কেজি ইলিশের দাম একটু বেশি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রতি কেজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি। ফলে আড়তে ক্রেতার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরবরাহের কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। চাঁদপুর মৎস্য আড়তে যেখানে অন্যান্য বছর প্রতিদিন ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ আমদানি হতো, সেখানে এ বছর ৩০০ থেকে ৫০০ মণ আমদানি হচ্ছে। চাঁদপুরে বর্তমানে ১২০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ২১০০ থেকে ২৩০০ টাকা, ১ কেজি ইলিশ ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বছরের এই সময় ইলিশ কিনতে ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে অনেকেই ভিড় জমান চাঁদপুরে। ইলিশের গ্রাহক বেড়েছে, কিন্তু সরবরাহ কম এজন্য দাম বেশি। চাঁদপুরের জেলে লিটন গাজী ও সফিক আকন্দ জানান, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই জ্বালানি খরচ ও খাওয়া মিলে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয় । এ বছর আহরণকৃত ইলিশের সাইজ খুব ছোট। তাদের এমনও দিন যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মাছ আড়তে বিক্রি করে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘আগে নদীতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার আড়ত করতাম, তাতে ভালোভাবেই সংসার চালাতাম। এখন সে অবস্থা নাই।’ আড়তদার শাহজাহান গাজী ও খলিল শেখ বলেন, ইলিশের জাল, নৌকা তৈরি করতে বেশির ভাগ পুঁজি আড়তদাররা বিনিয়োগ করেন। জেলেরা ইলিশ ধরে আনার পর বিক্রির শতকরা ৫ টাকা আড়তদার পেয়ে থাকেন। এমনও দিন যায়-জেলেরা যে পরিমাণ ইলিশ পান তা বিক্রির টাকা দিয়ে নৌকার জ্বালানি খরচ গিয়ে কিছুই থাকে না।

মাছ কম ওঠায় দাম বেশি : ইলিশের জেলা খ্যাত উপকূলীয় বরগুনা দেশে ইলিশের চাহিদার ৭৫ ভাগ পূরণ করে এলেও সাগর ও বিষখালী, বুড়ীশ্বর আর বলেশ্বর নদে ইলিশ আহরণ কম হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় দাম বেশি। সাগর বা নদীতে ইলিশের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। আগে ১০টি ট্রলার বোঝাই করে মাছ এলেও এখন ১০টির মধ্য দুটি ট্রলার মাছ পাচ্ছে, আটটিই খালি ফিরছে। বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলে শ্রমিকনেতা আবদুল মন্নান বলেন, বিগত বছরে যেমন একসঙ্গে সাগর থেকে ২৫-৩০টি ট্রলার বোঝাই করে টন টন ইলিশ আসত, যা দিয়ে চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকত; সেখানে এ বছর ১০টি ট্রলারের মধ্য দুটিতে ৫-৬ মণ মাছ আসছে। বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যাবস্থাপক লে. কমান্ডার জি এম মাসুদ সিকদার বলেন, সাগরে ইলিশ কম আহরণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে গেছে।

হাত বদলে দাম বাড়ে : এ মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি পটুয়াখালীর ট্রলার মালিক ও আড়তদারদের। আবার বড় সাইজের ইলিশও পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও জেলেরা। গভীর সাগরে ইলিশ শিকারি জেলে আজমল হোসেন জানান, গভীর সাগরে লাল জালে এবার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে খুবই কম। মহীপুর মৎস্যবন্দরের ব্যবসায়ী গাজী ফিশের মালিক মজনু গাজী জানান, এ বছর সাগরে ইলিশ নাই বললেই চলে। যা-ও দু-একটি ট্রলারে অল্প ইলিশ পাওয়া যায় তার দামও চড়া। তিনি জানান, গত মৌসুমে একেকটি ট্রলার ৩০-৪০ লাখ এমনকি একটি ট্রলার ৬০ লাখ টাকারও ইলিশ বিক্রি করেছে। বেশির ভাগই গভীর সাগরে লাল জালে প্রচুর মাছ পেয়েছে। এ বছর লাল জালে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। লম্বা জালে কিছু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তার দাম অনেক বেশি। কেজি আপ (ওপরে) ইলিশ প্রতি মণ ৬৫ হাজার টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৫ হাজার টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি মণ ৪০-৪৫ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। এর চেয়ে ছোট সাইজের ইলিশ গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। গদির মালিকরা শুধু আড়তদারি পান। ইলিশগুলো পাইকারি বিক্রির পর কোথায় যায়-এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে পাইকাররা উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ইলিশ কেনার পর প্রথমে তাঁরা হিমায়িত প্যাকেটজাত করেন। এরপর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তর, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের বাজারগুলোয় বিক্রি করেন। সেখানে বাজার মূল্যের ওপর বা পাইকারের ডাকের ওপর মাছের দর ওঠানামা করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, একবার লোকসান হলে পরবর্তী ট্রিপে সে টাকা ওঠানোর চেষ্টা করার ফলে দাম চড়া হয়। দু-তিন বার কোনো কোনো ক্ষেত্রে চারবার হাতবদলের ফলে দাম তো বাড়বেই।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক সাইদ মেমন, কক্সবাজার প্রতিনিধি আয়ুবুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিনিধি নেয়ামত হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার দাস]

এই বিভাগের আরও খবর
এনবিআরের ২ শতাধিক কর্মকর্তা ক্ষমা চাইলেন
এনবিআরের ২ শতাধিক কর্মকর্তা ক্ষমা চাইলেন
অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা ডিপজলের বিরুদ্ধে
অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা ডিপজলের বিরুদ্ধে
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
টিকটকে পরিচয় ইমোতে ব্ল্যাকমেল
টিকটকে পরিচয় ইমোতে ব্ল্যাকমেল
আকুর বিল পরিশোধে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
আকুর বিল পরিশোধে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
রাজশাহীতে বালুমহালে গুলি ভাঙচুর
রাজশাহীতে বালুমহালে গুলি ভাঙচুর
দিনভর বৃষ্টি জলাবদ্ধতা যানজট জনদুর্ভোগ
দিনভর বৃষ্টি জলাবদ্ধতা যানজট জনদুর্ভোগ
সাগরে গোসলে নেমে চবি ছাত্রের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
সাগরে গোসলে নেমে চবি ছাত্রের মৃত্যু, নিখোঁজ ২
৭ দফা আদায়েই অভ্যুত্থানের সফলতা
৭ দফা আদায়েই অভ্যুত্থানের সফলতা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
আলপনায় রঙিন গ্রাম
আলপনায় রঙিন গ্রাম
চট্টগ্রামে জিকা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা
চট্টগ্রামে জিকা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা
সর্বশেষ খবর
টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিপাত চলবে আরও কয়েকদিন, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

৫৮ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!

১৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

৫৮ মিনিট আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের

প্রথম পৃষ্ঠা

তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি
তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা