সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সেখানে রয়েছে চির সবুজ প্রকৃতি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রাখাইন পাড়া। লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ আর পাখির কলকাকলি। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণ সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য। সাগরের ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন মুগ্ধ করে সবাইকে। কয়েক দিন ধরে বইছে হালকা শীত। শীতের আমেজ পর্যটক বড়ছে কুয়াকাটায়। স্বস্তি ফিরেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। পর্যটকের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে বিভিন্ন স্পট। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা জোরদার করেছেন টহল। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল ছুটির দিন সকাল থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। সৈকতে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন তারা। কেউ সাঁতার কাটছেন। ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়াছেন কেউ কেউ। প্রিয়জনকে নিয়ে তুলছেন ছবি। কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পর্যটকদের আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে রেস্তোরাঁসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক কমে গিয়েছিল। এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও উচ্ছ্বসিত। এভাবে পর্যটক থাকলে ব্যবসায়ীরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
কুয়াকাটা রিজিওনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে প্রস্তুত আছেন তারা। দর্শনীয় স্থানগুলোতে রাত দিন কাজ করছে আমাদের একাধিক টিম।