দেশে চলমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারে সহায়তা করতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ৫ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা অনুদান দেবে সুইডেন। পাশাপাশি বিচারব্যবস্থা জনমুখী করতে সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। গতকাল ইউএনডিপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এ চলমান প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তির আওতায় সুইডেন বাংলাদেশের আইনের শাসন পরিষেবা রূপান্তরে সহায়তা প্রকল্পে দ্বিতীয় দফায় ৫ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা অনুদান দেবে। এর মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার সংস্কারে বিস্তর কাজ করা হচ্ছে। এ উদ্যোগটি ইউএনডিপির সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য সমন্বিত সহায়তা কার্যক্রমের অংশ। এতে আরও বলা হয়, নতুন ধাপে প্রকল্পের পূর্ববর্তী অগ্রগতির ভিত্তিতে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, প্রসিকিউশন সংস্কার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার- বিশেষ করে নারী, যুবসমাজ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিচারপ্রার্থীদের জন্য চালু হওয়া সুপ্রিম কোর্টের নতুন হটলাইন পরিষেবাকে আরও কার্যকর করা হবে এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে একটি পেশাদার প্রসিকিউশন সার্ভিসে রূপান্তরিত করার সঙ্গে অন্যান্য সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মারিয়া স্ট্রিডসম্যান বলেন, ন্যায়বিচারে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা বিচার খাত সংস্কারের মূল ভিত্তি। ইউএনডিপির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারির মাধ্যমে সুইডেন একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলার সহায়তা করতে পারছে, যা সব নাগরিকের সেবা ও মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখে। এ সময় ইউএনডিপির আবাসিক দূত স্টেফান লিলার বলেন, নিম্ন আদালতসহ বিচার বিভাগের সব পর্যায়ের বিচারিক কার্যক্রমের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিস্থিতি আর প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে সরকার এবং বিচার বিভাগকে সহায়তা করবে ইউএনডিপি। বিচারকরা যেন কার্যকরী স্বাধীনতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত থাকেন তার ব্যবস্থা করা এবং বিচার বিভাগের নিজস্ব প্রশাসনের নিয়মকানুন তৈরির কাজেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।