প্রশাসনে গত মাসে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি হলেও অনেকদিন ধরেই ঝুলে আছে উপসচিব পদে পদোন্নতি। এ বিষয়ে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) একাধিক বৈঠক করে ফাইল ফেরত পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। মাঠপর্যায়ে এ ব্যাপারে কাজ করছে গোয়েন্দা বিভাগ। পদোন্নতি আটকে থাকায় ৩০তম বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা লক্ষ করা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মাসে ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়। একই সময়ে ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও পদোন্নতির বিষয়টি আলোচনা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল এপিডি উইং সূত্রে জানা যায়, ৩০তম ব্যাচের তালিকা প্রস্তুত করে এসএসবির বৈঠকও হয়েছে। তবে সেখানে বেশির ভাগ কর্মকর্তা গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করে এসএসবি। ফলে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় প্রত্যেকের ব্যাপারে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষ হলে এসএসবি আবার বৈঠক করবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পদশূন্য থাকলে পদোন্নতি দেওয়া যায়। পদের বাইরে বাড়তি পদোন্নতি দেবে কি না তা সরকারের বিষয়। জানা গেছে, প্রশাসনে ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৪২৮টি। জনপ্রশাসনের সরকারি কর্মচারী বাতায়নের (জেমস) তথ্য অনুসারে উপসচিব পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। ৩০তম ব্যাচের ২৭৭ জন আর বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ২৫ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ব্যাচে। ফলে পদোন্নতি যোগ্য ২৯০ জনের মতো কর্মকতা রয়েছেন। পাশাপাশি অন্য ক্যাডার থেকেও উপসচিব পদোন্নতির জন্য ২ শতাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন। উপসচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মতে, তাদের চাকরি এক যুগ পার হয়েছে।