চট্টগ্রামের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলার কিলিং মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া থানার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে খুনে ব্যবহার করা বিদেশি পিস্তল, দুটি করে ম্যাগাজিন এবং গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হাসান সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন পশ্চিম শহীদ নগর সুবাহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির মো. আলমের ছেলে।
সিএমপির বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘হাসান আলোচিত ডবল মার্ডার কিলিং মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যায়। বারবার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। শুক্রবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।’ জানা যায়, কিলিং মিশনে মোট ১৩ জন সন্ত্রাসী ছয়টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা। যিনি শেষ পর্যন্ত ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশের দাবি, বায়েজিদ বোস্তামি ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে সহায়তার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা হয়। সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে দুজন নিহত হন। প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ রাতে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার গাড়িকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করা হয়। এতে দুজন নিহত এবং দুজন আহত হন। এ ঘটনায় কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, তার স্ত্রী তামান্না শারমীনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।