জাতীয় সরকার গঠনের আনুপাতিক হারে রূপরেখা প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী ও ড. বদিউল আলম মজুমদারকে উপ-রাষ্ট্রপতি করে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানায় দলটি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় সরকার গঠনে এসব প্রস্তাব করা হয়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় ঐক্য সংহতি পরিষদের আহবায়ক মো. নাজিমুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এস এম ফরমানুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, অপকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর প্রমুখ। জাতীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তকরন নিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, মন্ত্রিসভা শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হবেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপির অংশগ্রহণ ২৫ শতাংশ, জামায়াতে ইসলামী ২০ শতাংশ, এনসিপি ১০ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ থাকবে ২৫ শতাংশ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে নানা সময় অনেক সংষ্কার কমিশন গঠন হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় বসে তা কেউ বাস্তবায়ন করেনি। উল্টো দলীয় নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মানে কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। এতে রাষ্ট্রের অর্থ লুট হয় বার বার। যার বড় উদাহরণ আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্য আমরা প্রত্যেকে চাই। এই ঐক্য কেন হয়নি তা আমরা প্রত্যেকে জানি। তবে গেল ১৬ বছর যে পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে গিয়েছিলাম তাও সবার জানা। একটা পট পরিবর্তন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে নির্দিষ্ট সংষ্কার নিয়ে কাজ করছে। তবে কোন পর্যায়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে তা মূল বিষয়।