সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ফাঁসের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীনকে নিয়ে মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। গতকাল এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। এদিকে সংশ্লিষ্ট অডিওর কথোপকথনটি নিজের বলে দাবি করেছেন এনসিপির আরেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও যৌন হয়রানিমূলক কাজে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং পতিত ফ্যাসিবাদী দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এটি নারীর প্রতি অবমাননা ও নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং এটি তাদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তা ও সক্ষমতাকে অস্বীকার এবং রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কিছু নেতা-কর্মীও এ অপপ্রচারে অংশ নিয়েছেন। অনেক অনলাইন মিডিয়া এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বও এক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতা ও অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। একটি মূলধারার দৈনিক পত্রিকাও তাজনূভা জাবীনকে জড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে। যা জনপরিসরে তাকে আরও বেশি অরক্ষিত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে অযাচিত মন্তব্যকে আরও উসকে দিয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নীলা ইসরাফিল বলেন, ‘তুষার (এনসিপি নেতা) যদি আমার মতো একজন সাহসী নারীকে এভাবে যৌন নিপীড়ন ও সাংগঠনিক প্রভাব খাটিয়ে দমন করার সুযোগ পায়, তবে আগামী দিনে অন্য নারী কর্মীরাও নিরাপদ থাকবে না।’ কথোপকথনটি ভাইরাল হওয়ার আগেই দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে অবগত করেছিলেন উল্লেখ করে নীলা বলেন, ‘চেয়েছিলাম তুষার একটা ইন্টারনাল শাস্তি পেয়ে শুদ্ধ হোক।’