পাটকল মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন (আইজেএমএ) ভারত সরকারের বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। তারা দিল্লিতে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের (এর অধীনে পাট) প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারেট ও সচিব নীলিম স্বামী রায়ের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান। স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি নিষেধ হলেও বিকল্প জলপথ দিয়ে তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানির অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধ, নারায়ণগঞ্জ থেকে পশ্চিমবঙ্গের নামখানা হয়ে খিদিরপুর ডোক দিয়ে এ কাঁচা পাট আমদানি সম্ভব। যেহেতু মহারাষ্ট্রের নাভা সেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাই জলপথে পশ্চিমবঙ্গ আমদানি করা যায়। প্রতিনিধিদলের একজন জানান, সাধারণত মার্চ এপ্রিল মাসে পাটবীজ রোপণ করা হয়। জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত কাঁচা পাট তোলা হয় এবং তা পানিতে পচিয়ে উৎপাদন করা হয়। এ বছর যথেষ্ট বৃষ্টি না হওয়ায় কাঁচা পাট উৎপাদন কম হবে। বাজারে পর্যাপ্ত পাট নেই। ভারতের উৎপাদন পেতেও সেপ্টেম্বর হয়ে যাবে। সেই কারণে চটকলগুলোতে পাটের জোগানের সংকট হবে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন।