কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে গত শুক্রবার রাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে কাদের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, সেটা জানা যায়নি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, টেকনাফের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ১২ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারা অপহরণ করেছে, তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জেলে নুরুল আলম বলেন, ‘বছর খানেক আগে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের সময় দিনরাত গোলাগুলির ঘটনা ঘটত। তখন আমরা যারা সীমান্তে বসবাস করি খুবই আতঙ্কে ছিলাম।’ হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শুক্রবার রাতে হোয়াইক্যংয়ের ওপারে রাখাইন সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা কাদের মধ্যে ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়, ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এক বছর আগে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের পর রাখাইনের মংডুসহ কয়েকটি শহর ও গ্রাম এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি ও ক্যাম্প আরাকান আর্মির দখলে চলে যায়। বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে থাকা রাখাইনের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তও আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।