মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, ‘আগামীকাল (আজ) বেলা ২টা থেকে আমরা অনশন করব। তারপর আমরণ অনশন। তার পরেও যদি আমাদের দাবি না মানে তাহলে আমাদের দেহ জীবিত যাবে না। লাশ যাবে। অধিকারের বিষয়ে আপস করব না। রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’ গতকাল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব এসব কথা বলেন।
এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ‘বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষকরা রাজি হলে ১ নভেম্বর থেকেই এ ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বাস্তবায়ন সম্ভব। সরকার শিক্ষকদের এমন কোনো আশ্বাস দিতে চায় না, যা পরবর্তীকালে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’ গতকাল সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকনেতারা যদি তাঁদের দাবি ও হিসাবনিকাশ সময়মতো মন্ত্রণালয়ে দিতেন, তাহলে বাজেট ঘোষণার আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাব পাঠানো যেত। ফলে এবারই বেশি বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব হতো।’ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসবভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে রবিবার থেকে তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। সেদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও দুপুরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান। শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে, জলকামানের পানি ছিটিয়ে এবং লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার থেকে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।