বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে ইয়োগা কার্যক্রম শুরুর এক মাসের মাথায় এবার চালু হলো বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক। গতকাল বিকালে পার্কটি উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন। পার্কটি প্রায় ৬ বিঘা জমির ওপর তৈরি। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান (রহ.) জামে মসজিদের (বড় মসজিদ) পাশে দৃষ্টিনন্দন এমন একটি পার্ক পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। পার্কটি সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুধু বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য খোলা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, উপদেষ্টা (প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোক্তার হোসেন চৌধুরীসহ বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা। সরেজমিন দেখা যায়, পার্কটির মাঝ দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেছে পাড় বাঁধানো দৃষ্টিনন্দন লেক। লেকের চার দিক ঘিরে রয়েছে ওয়াকওয়ে বা হাঁটার জায়গা। মাঝে মাঝে বসার ব্যবস্থা। রয়েছে শিশুদের সাইকেল চালানোর জায়গা ও বিভিন্ন খেলার উপকরণসংবলিত প্লে জোন। ব্যায়ামের জন্য রয়েছে পৃথক জোন। এ ছাড়া পার্কে ঢুকতেই বাঁ দিকে রয়েছে চা-কফি ও নাশতার ব্যবস্থা। প্রথম দিনেই বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে হাজির হয় বেশ কয়েকটি শিশু। পার্কে ঢুকেই খেলায় মেতে ওঠে তারা।
পার্কটি উদ্বোধন করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এমন একটি পার্ক বসুন্ধরায় খুব জরুরি ছিল। ঢাকা শহরের পার্ক, মাঠগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। মানুষের হাঁটার জায়গা নেই। সেই বিবেচনায় একটু আরামে, শান্তিতে বসবাসের জন্য বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না।’
বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে ঘোষণা করেছি। বিনোদনের সবকিছু আমরা এখানে নিয়ে আসব। তার অন্যতম উপকরণ পার্ক। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় এ পার্কটি করে দিয়েছেন। শিগগিরই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পেছনে প্রায় ১০০ বিঘার ওপর আরও একটি কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন করা হবে। এ ছাড়া বসুন্ধরা এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ার্ল্ড-১, বসুন্ধরা এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ার্ল্ড-২, বসুন্ধরা একোয়া ওয়ার্ল্ড নামে আরও তিনটি থিম পার্ক ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে।’
বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এমনিতেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্র্যান্ড হচ্ছে নিরাপত্তা। অন্যান্য সুযোগসুবিধায়ও এ এলাকাটা অনন্য। এখানে একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স আছে, যেটা বিশ্বমানের। আমরা বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে তাঁরা বাসিন্দাদের চাহিদাগুলো পূরণ করছেন।’