ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। গতকাল এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান ফরহাদ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের মানুষের ভরসার জায়গা। বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট ছাত্রসংগঠন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছে। রাজনীতির ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি উপকরণ। ফলে শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও এ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো নানা সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। খাবার, আবাসন, গবেষণা সুবিধার অভাব, শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি, প্রশাসনিক কাঠামোতে সেকেলে কাঠামো, যোগ্য শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি নানা সংকট এখানকার বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিরা সবসময় ক্ষমতার গোলামি করে ভিন্নমতগুলোকে দমন করে রেখেছেন। হলগুলোতে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি করে রাজনৈতিক দাসত্বের পথ তৈরি করে রাখে। বার্ষিক বাজেট কখনো স্বচ্চ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, নিরাপত্তাসংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে প্রশাসনের গাফিলতি সবসময় ছিল চরমে। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু চায়। রাজনীতিতে পুরোনো অপসংস্কৃতি তারা আর চায় না।
তাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটা কাঠামো শিক্ষার্থীবান্ধব হবে, দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা নানা সংকট নিরসন হবে, সব শিক্ষার্থীর জন্য আদর্শ আবাসন এবং পুষ্টিকর খাবারের বন্দোবস্ত হবে, নারীদের সম্মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, সবাই নিজ আদর্শ স্বাধীনভাবে লালন করবে, শিক্ষার্থীরা দেশের বোঝা না হয়ে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে।
ডাকসু এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে। তারা আশা রাখে এ প্রতিনিধিরা সবসময় তাদের আশাআকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বস্ত থাকব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে নিজেদের বিলিয়ে দেব।
গত এক বছর ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের জন্য অনেক কাজ করেছি, কর্মসূচি পালন করেছি সবই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। আমরা ক্যাম্পাসে অনেক কল্যাণমূলক কাজ করেছি। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিতে প্রশাসনকে বাধ্য করেছি। শিক্ষার্থীদের আগামীর প্রত্যাশাগুলোও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের অঙ্গীকারের প্রতি, শিক্ষার্থীদের আশাআকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বস্ত থাকব। শিক্ষার্থীদের ভোট ও সমর্থনের মাধ্যমে আমাদের প্যানেলের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।