খুলনার রূপসা সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার ডান হাত, মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যায়নি। পিবিআই ও সিআইডি টিম মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি কোনোভাবে সেতুর ওপর থেকে পড়ে যান অথবা স্বেচ্ছায় লাফ দিয়েছেন। তবে অপর প্রত্যক্ষদর্শী মনে করেন সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। কারণ সানগ্লাস পরে কেউ আত্মহত্যা করবে নাকি? যেখানে ঝাঁপ দিয়েছেন, রূপসা নদীর ওখানে পানি ছিল না। ঝাঁপ দিলে পানিতে না পড়ে পিলারের বেজমেন্টে পড়ল কীভাবে? তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
র্যাব-৬ এর উপঅধিনায়ক মেজর মারুফ লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন। রূপসা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, লাশের পকেটে পাওয়া এনআইডি থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। এসআই বেল্লাহ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধারের সময় বুলুর পরনে ছিল নীল গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ও আকাশি রঙের টি-শার্ট। ডান হাত ও মুখম লে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।