খুলনায় বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। ঘটছে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে হামলা, মারামারি, খুন, চাঁদাবাজি। ধর্ষণ, আত্মহত্যা, চুরি, ডাকাতির ঘটনায় ছড়াচ্ছে উদ্বেগ। দুই সপ্তাহের অপরাধ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, খুলনা মহানগরী ও জেলায় সব ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বেড়েছে। এ সময়ে পূর্বশত্রুতা ও মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে চারটি হত্যা, পারিবারিক সহিংসতায় দুই নারীর মৃত্যু, স্কুলশিক্ষক, সাংবাদিকসহ চারজনের আত্মহত্যা ও ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সক্রিয় হচ্ছে অপরাধীরা।
জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে রূপসায় ইমরান হোসেন মানিক নামে এক যুবককে মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২২ আগস্ট আঠারমাইল এলাকায় যুবদল নেতা শামীমকে কুপিয়ে হত্যা, ২৬ আগস্ট কাজিবাছা নদীতে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, ১ সেপ্টেম্বর রূপসায় ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়াকে গুলি ও পারিবারিক কলহে ৪ সেপ্টেম্বর রূপসায় পারভীন বেগম নামে এক গৃহবধূ খুন হন।
এদিকে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে ডুমুরিয়ায় স্কুলশিক্ষক গণেশ মণ্ডল (৫৫), মানসিক চাপে সাংবাদিক ওয়াহিদ উজ জামান বুলু (৬০), তেরখাদায় পারিবারিক কলহে গৃহবধূ মুক্তি (২০) ও রূপসায় গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধ ফরিদ শিকদার (৭০) আত্মহত্যা করেন। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, মহানগরী ও জেলায় গত মাসে চুরি ২৩, খুন ৮, অস্ত্র আইনে ৭, ধর্ষণ ৪সহ ২ শতাধিক মামলা হয়; যা জুলাইয়ের তুলনায় ১০টি বেশি। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে সন্ত্রাসীরা আবার এলাকায় ফিরেছে। আগের মতোই প্রভাব বিস্তার করে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে। পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অপরাধ দমনে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। কয়েকটি হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ঘাটন হয়েছে।