মানুষকে কখনো কখনো বেশ হতাশ ও চাপযুক্ত অবস্থায় চোখে পড়ে। এর ফলে তাদের মেজাজ খিটখিটে ও কর্কশ হয়ে যায়। ফলে তারা কোনো কাজেই তেমন মজা পান না। শুধু তাই নয়, এতে করে অন্যরাও তাদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। তবে এ থেকে উত্তরণের উপায়ও কিন্তু আছে। কয়েকটা বিষয়ে ছোটোখাটো পরিবর্তন এনে সুন্দর ও প্রাণবন্ত জীবনযাপন করা সম্ভব। নিচে তেমনই চারটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
খাবার-দাবার : বিভিন্ন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে সুষম খাবার কেবল আমাদের শরীরকেই নয়, মনকেও ভালো রাখে। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটি খাবার আমাদের বিষণ্ণতার জন্য মারাত্মক ভাবে দায়ী। University of Warwick এর একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে তাজা ফলমূল ও সবজির একটা বড় ভূমিকা আছে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে। মনকে ফুরফুরে রাখতে মন ভোরে খাওয়ার চাইতে সঠিক খাবার খাওয়া জরুরী। অল্প কার্বোহাইড্রেট, পর্যাপ্ত প্রোটিন, প্রচুর তাজা শাকসবজি ও ফল তৈরি করে একটি সুসম ডায়েট। অধিক ফ্যাট ও চিনি জাতীয় খাবার আপনাকে ঠেলে দেয় বিষণ্ণতা ও হতাশার দিকে। অন্যদিকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
ব্যায়ামে শরীর নয়, মনও ভালো থাকে : মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শারীরিক ব্যায়াম খুবই জরুরী। ব্যায়াম আপনার শরীরকে ছিপছিপে ও সুন্দর রাখে, ফলে বাড়ে আত্মবিশ্বাস- এই কথা সকলেই জানেন। কিন্তু ব্যায়াম আসলেই যে মানসিকতা ভালো রাখে এটা অনেকের জানা নেই। Southern Methodist University এক গবেষণায় দেখা যায় যে স্ট্রেস ও বিষণ্ণতা কমাতে ব্যায়াম ভীষণ কাজে আসে। বলা যায় রীতিমত ম্যাজিক। দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্ট্রেস কমানোর অনুশীলন : স্ট্রেস কমানোর জন্য মানসিক ব্যায়াম। মেডিটেশন এক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। দৈনিক ২৫ মিনিট করে মেডিটেশন আপনার মনকে স্থির রেখে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করবে। যোগ ব্যায়ামও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে শরীর ও মনের উভয়েরই ব্যায়াম হয়। এছাড়া গান শোনা, বই পড়া, বাগান করা ইত্যাদি শখের কাজও আমাদের স্ট্রেস মুক্ত রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম : শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই, তেমনই মনকে সুস্থ রাখতেও ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। অপর্যাপ্ত ঘুম, রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যহানির একটা বড় কারণ। ঘুমের অভাব আমাদের ক্রমশ খিটখিটে ও বিষণ্ণ করে তোলে। কমিয়ে দেয় কর্মস্পৃহা। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুম অবশ্যই জরুরি।শরীর ও মনকে যথার্থ বিশ্রাম দিন। সূত্র : সাইকোলজিটুডে
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ