প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে দেশ। গরমে রেলপাত বেঁকে যাওয়ায় সাময়িক রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখার মতো ঘটনা ঘটেছে। কখনো কখনো শরীরে ফোসকা পড়ার মতো গরম বাতাস বয়ে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে প্রতিদিনই গরমে মানুষ মারা যাচ্ছে। তীব্র গরমের এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা খুবই জরুরি।
হিটস্ট্রোক এখন হার্টঅ্যাটাকের মতোই এক বিভীষিকার নাম। বাড়তি তাপমাত্রার কারণে ভারতে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। এই হিটস্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষার উপায় কী? কিছু টিপস মেনে চললে এই সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
এই গরমে সবসময় সুতির পোশাক পরুন। পাতলা ঢিলেঢালা সুতি কাপড়ই গরমের জন্য ভালো।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। তাহলে শরীর যেমন প্রয়োজনীয় ঘাম তৈরি করতে পারবে, তেমনি শরীরে পানির ভারসাম্যও ঠিক থাকবে।
যেকোনো রক্তচাপ বা হার্টের ওষুধ খাওয়ার আগে ভালো করে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন। এসব ওষুধ রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। তাই হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
যেকোনো শারীরিক সমস্যা যেমন ক্লান্তি, অবসাদ, বমি বমি ভাব বা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
সকাল বেলা হাঁটতে যাওয়ার সময়টা এগিয়ে নিন। দিনের বেলায় কোনো ব্যায়াম করবেন না। আর চেষ্টা করুন ব্যায়ামের মাঝে মাঝে ব্রেক নিতে এবং তরল পানীয় পান করতে।
দিনের সবচেয়ে গরম অংশটুকু এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন এই সময়ে ঘরের বাইরে না বেরোতে। আর ক্যাফেইনযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে বারবার কোনো পানীয় পান করুন এবং ঠান্ডা জায়গায় বারে বারে বিশ্রাম নিন।
রোদ থেকে এসেই যেমন ঠান্ডা এসিতে ঢুকবেন না। তেমন এসি থেকে বেরিয়েই তীব্র রোদে যাবেন না। চেষ্টা করুন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আগে শরীর মানিয়ে নিতে।
সূর্যের তাপে যদি আপনার ত্বক পুড়ে যায় তাহলে সেটা শরীরকে আর ঠাণ্ডা করতে পারে না। চেষ্টা করুন ত্বকটাকে বাঁচাতে। বড় কোনো হ্যাট এবং সানগ্লাস নিন বাইরে বের হওয়ার আগে।
অনেকেই জরুরি কোনো কাজে যাওয়ার সময় বাচ্চাকে গাড়িতে রেখে যান। এই গরমের সময় এমনটা করবেন না। সূর্যের তাপে গাড়ির মধ্যে তাপমাত্রা আরো বেড়ে যায়। এর ফলে বাচ্চারা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ