প্রতিটি ব্যক্তি আলাদা। সে সঙ্গে তার চিন্তা ভাবনা আর চাহিদাও আলাদা। আর এই কথাটা চরম সত্য যে, ব্যক্তি বিশেষে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি পাল্টে যায়। বেড়ে ওঠা পরিবেশ, চরিত্র, বন্ধু ইত্যাদি কোনও মানুষকে বোঝার ক্ষেত্রে যেমন সহায়ক হয়, তেমনই যৌন ফ্যান্টাসিও সেই বেড়ে ওঠা পরিবেশের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। আর এই ব্যপারটি সবচেয়ে ভালো জানবে যৌনকর্মীরা। তাদের চেয়ে ভালো আর কারও অক্ষে জানা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি যৌনকর্মীদের জন্য তৈরি UK-এর একটি ওয়েবসাইট SAAFE-এ অনেক যৌনকর্মীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে একটি আইডি-র মাধ্যমে বহু যৌনকর্মীরা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। যদি কোনও সাহায্যের দরকার থাকে সেটাও বলেন। প্রেম-ভালোবাসা, সেক্স, ফ্যান্টাসি নিয়ে আলোচনা করতে প্রায় সকলেই রাজি।
ক্লায়েন্টের সঙ্গে ডেট করার প্রসঙ্গে একজন যৌনকর্মী লিখেছেন, ‘আমি চুটিয়ে ডেট করেছি। সেই ডেটিং শেষ হয়েছে বিয়ের মঞ্চে। আমরা একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। ও বুঝেছিল, এটা আর পাচটা কাজের মতোই আমার কাছে একটা কাজ। যা আমার সংসার চালাত।’
আরও একজন লিখেছেন, ‘আমার প্রাক্তন এক ক্লায়েন্টের সঙ্গে আমি ডেট করছি গত ৪ মাস ধরে। ও খুব সহযোগিতা করে আমার সঙ্গে। আমার মতামতকে গুরুত্ব দেয়। বাইরে আমি যা খুশি হতে পারি, কিন্তু যখন দেখা করি, তখন তার কাছে আমি শুধুই তার গার্লফ্রেন্ড। আমার মনে হয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালো কমিউনিকেশন এবং সততা থাকা অত্যন্ত জরুরি।’
তবে বেশিরভাগ যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তার এই থিওরিকে এড়িয়ে চলতেই বেশি পছন্দ করছেন। একজন লিখেছেন, ‘আমি কখনও ক্লায়েন্টের প্রেমে পড়িনি। কিন্তু কখনও যদি মনে হয় কোনও ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভালো জমেছে তাহলে তার সঙ্গে অন্তত এক মাস কোনও যোগাযোগ বা সেক্স করি না। আমার মনে হয়, এদের বেশিরভাগই বিছানায় একজন ব্যক্তিগত যৌনদাসী পছন্দ করেন। যারা বিনা পয়সায় উদ্দাম সেক্স আর তাদের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি পূরণ করবে। মন ভরে গেলে একবার পেছনে ফিরেও তাকাবে না।’
বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-২২