আমাদের হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাধারণত প্রোবায়োটিক সেবন করে থাকি। সাপ্লিমেন্ট বা দইয়ের মাধ্যমে যে সাধারণ প্রোবায়োটিক মেলে তাতে মানসিক চাপ সংক্রান্ত আচরণ ও দুশ্চিন্তা দূর হতে পারে। সম্প্রতি ধারাবাহিক গবেষণায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জেব্রাফিশের দেহে ল্যাকটোব্যাসিলাস প্লান্টারাম প্রয়োগ করেন। এরপর তাদের আচরণ দেখা হয়। কেননা জেব্রাফিশের দেহে এই ব্যাকটেরিয়া কিভাবে কাজ করে বুঝতে পারলে, মানুষের দেহে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কেও আইডিয়া করা যাবে। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও জেব্রাফিশের দেহে পরীক্ষা ভালো ফল বয়ে আনে বলে জানান আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির গবেষক অ্যারোন এরিকসন।
সাধারণত তাপমাত্রা পরিবর্তন, সংখ্যার বৃদ্ধি বা হ্রাস ইত্যাদি মাছদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে। ঠিক একই বিষয় মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের গবেষক এলিজাবেথ ব্রাইডা।
প্রথম একটি ট্যাঙ্কিতে এই ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। ওই ট্যাঙ্কিতে ছিল জেব্রাফিশ। অন্য আরকে ট্যাঙ্কিতে থাকা জেব্রাফিশের মাঝে কোন প্রোবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়নি। পরে তারা পরিবেশের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নেয় তা বুঝতে ওই ট্যাঙ্কিগুলো থেকে কিছু পানি বের করে দেন। মাছের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেন। প্রতিদিনই মাছের ওপর স্ট্রেসর টেস্ট পরিচালনা করা হয়।
এই পরীক্ষায় দেখা যায়, যেসব জেব্রাফিশদের প্রোবায়োটিক প্রদান করা হয়েছিল তাদের স্ট্রেস সংশ্লিষ্ট মেটাবলিক মেকানিজমের হার অনেক কম। অন্ত্রে এসব ব্যাকটেরিয়া চাপ সৃষ্টিকারী জিনের উপর প্রভাবিস্তার করে। হুমকিপূর্ণ পরিবেশেও মস্তিষ্কের বিশেষ নিউরনগুলোকে শান্ত রাখতে কাজ করে এসব ব্যাকটেরিয়া। এই গবেষণাপত্রটি সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার