জ্যোতিশ শাস্ত্র মতে, মানুষের স্বভাব কেমন হবে, তা অনেকাংশে তার রাশির ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক রাশির জাতকের ওপর প্রভাব থাকে সেই রাশির গ্রহস্বামীর। তার ফলেই চারিত্রিক দিক থেকে এক এক রাশির জাতকরা এক এক রকম হন। কেউ রাগী, কেউ ক্ষমাশীল, কেউ বা একগুঁয়ে। তেমন ভাবেই অপরাধের ক্ষেত্রেও জাতকের ওপর রাশির প্রভাব থাকে।
সম্প্রতি FBI একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে অপরাধ মনষ্কতার দিক থেকে ইংরেজি মাসের জন্মতারিখ অনুযায়ী কোন রাশির জাতকরা কেমন তার হদিশ রয়েছে। মিলিয়ে দেখে নিন, আপনার আশপাশের মানুষের মতিগতি কেমন হতে পারে।
১২. সব থেকে কম অপরাধ মনষ্ক মানুষ হন জেমিনি বা মিথুন রাশির জাতকরা। এঁরা যতই রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করুন, কাউকে চট করে মারতে বা কারও ক্ষতি করতে পারেন না। খুব প্রয়োজন না হলে অস্ত্র ধরেন না।
১১. এর পরের স্থানেই রয়েছেন অ্যাকুয়ারিয়াস বা কুম্ভরাশির জাতকরা। সুবিচারের প্রতি এঁদের অকাট্য আস্থা রয়েছে। খুব ইগোইস্টিক মানুষ হন। সহজে ভাঙেন না। তার সঙ্গে আরও একটি ব্যাপার পরিসংখ্যানে বলা রয়েছে। এঁরা কোনও অপরাধ করলেও সহজে ধরা পড়েন না। এমন বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ রয়েছে যেখানে প্রধান সন্দেহভাজন হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব তাঁদের ধরা যায়নি।
১০. লিও বা সিংহ রাশির জাতকরা যতটা গর্জান তটা বর্ষান না। পরিসংখ্যান বলছে, গণ্ডগোল থেকে দূরে থাকাই পছন্দ করেন এঁরা। দেখা গিয়েছে, যদি এঁরা কোনও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকেন তা কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ করর জন্য।
৯. অদ্ভূত বৈপরীত্য দেখা যায় লিব্রা বা তুলা রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে। এক দিকে তাঁরা দয়াবান এবং ধৈর্য্যশীল হন। অন্য দিকে খুন করার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রবণতা বেশি থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, সিংহ এবং কুম্ভ রাশির জাতকরা বছরে যত খুন করেন, তার চেয়ে বেশি খুনের ব্যাপারে জড়ান তুলা রাশির জাতকরা।
৮. পরিসংখ্যান বলছে, ভার্গো বা কন্যারাশির জাতকরা সামান্য সাইকো প্রকৃতির হওয়ার প্রবণতা থাকে। এঁদের অপরাধ মূলত সীমাবদ্ধ থাকে চুরি এবং জালিয়াতির ক্ষেত্রে। তবে যদি এঁরা কোনও কারণে খুন করেন তবে খুব চুপিসাড়ে করেন।
৭. পাইসেস বা মীন রাশির জাতকদের আপাতপক্ষে দেখে খুব ‘কিউট’ বলে মনে হলেও আদপেও তা নন। জন ওয়েন গেসি, রিচার্ড রামিরেজ বা এইলিন ইওর্নোস-এর মতো অপারধ জগতের অন্যতম কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ছিলেন এই রাশির জাতক। এঁরা যে কনও অপরাধ একটু নাটকীয় ভাবে করতে পছন্দ করেন।
৬. ক্যাপ্রিকর্ন বা মকর রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে একটা কথা খুব প্রচলিত, মারি তো গণ্ডার, লুঠি তো ভাণ্ডার। অর্থাৎ, সাধারণ এঁরা অপরাধ করেন না কিন্তু যদি কোনও কারণে এঁরা একবার খেপে যান, তবে রক্ষে নেই। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের ভয়ংকরতম সিরিয়াল কিলার এই রাশির জাতকরাই হয়ে থাকেন।
৫. রাশি মেষ হলে কী হবে, রাগলে একেবারে সিংহ। ছিঁড়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে এঁদের রাগ খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না, সেটাই রক্ষ। তবে যত ক্ষণ থাকে এঁদের থেকে তখন দূরে থাকাই ভালো। মূলত এই চরম রাগের কারণেই এঁরা পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।
৪. রাগের ব্যাপারে বৃষরাশির জাতকরা কোনও অংশে কম যান না। রাগলে মাথার ঠিক থাকে না। তবে খুন বা মারামারির তুলনায় এঁরা জালিয়াতি করতে বেশি ভালোবাসেন। অন্যতম কারণ, এঁরা বিলাসবহুল জীবন খুব পছন্দ করেন।
৩. তিন নম্বরে রয়েছেন স্যাজিটেরিয়াস বা ধনুরাশির জাতকরা। এঁরা যখন অপরাধ করেন, তখন ছোটখাটো কোনও অপরাধে খান্ত থাকেন না। টেড বান্ডি, পাবলো এসকোবার-এর মতো দাগী অপরাধীরা ধনু রাশির জাতক ছিলেন।
২. FBI-এর পরিসংখ্যান বলছে, স্করপিও বা বৃশ্চিক রাশির জাতকরা ‘অফিশিয়াল সাইকো’ হন। ইতিহাস বলছে, বেশিরভাগ সিরিয়াল কিলার নভেম্বর মাসে জন্মান। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বৃশ্চিক রাশির হন। বাকিরা ধনু রাশির। এঁরা খুব স্যাডিস্টিক খুনি হয়ে থাকেন।
১. সব থেকে বেশি অপরাধ মনষ্ক মানুষের তকমা পেয়েছেন ক্যান্সার বা কর্কট রাশির জাতকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এঁরা খুনের ব্যাপারে জড়িত থাকেন। শুধু জড়িত থাকেন বললে ভুল হবে, কারও প্রতি ঈর্শান্বিত হলেই তাঁকে খুন করতে পারেন এই রাশির জাতকরা। সব কিছু এঁদের মুডের ওপর নির্ভর করে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, এঁরা আসলে “হেড অফ ম্যানিয়াক”। সূত্র: এই সময়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার