৪ জুলাই, ২০২২ ০৮:৫৪
ভেষজ

করলার গুণাগুণ

অনলাইন ডেস্ক

করলার গুণাগুণ

করলা দেখতে সুন্দর কিন্তু স্বাদে তিতা, তবে অনেক উপকারী। শত বছর ধরে এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। করলা শিশুদের একদমই পছন্দ না। করলা ডায়াবেটিস, লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কৃমি রোগে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা অধিক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ইনসুলিনের মতো পেপটাইড এবং অ্যালকোলয়েড। এগুলো রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিসের উপকার করে। বাতের ব্যথায় নিয়মিত করলা রস খেলে ব্যথা আরোগ্য হয়। আয়ুর্বেদের মতে, করলা কৃমিনাশক, কফনাশক ও পিত্তনাশক। করলার জীবাণুনাশক ক্ষমতাও রয়েছে। ক্ষতস্থানের ওপরে পাতার রসের প্রলেপ দিলে এবং করলা গাছ সিদ্ধ করা পানি দিয়ে ক্ষতস্থান খুলে কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যায়। অ্যালার্জি হলে এর রস দু-চামচ দুবেলা খেলে সেরে যাবে। করলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জীবাণুনাশী, বিশেষ করে ই-কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। ফলে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ হয়। এ ছাড়া করলা নানা রকম চর্মরোগ প্রতিরোধ করতেও অত্যন্ত কার্যকর।

করলার জুস লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। করলায় আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ, ভিটামিন এ, ভিটাসিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। আরও আছে লুটিন আর লাইকোপিন। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসাইরাইড কমায় এবং ভালো কলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর