ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্পশহর আসানসোলে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন ‘মমতা কয়েকটা আসনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ যদি নিলামে পাওয়া যেতো তবে তিনি আর কংগ্রেস-উভয়েই যেভাবে সম্পদ লুট করেছে ওই রুপি নিয়ে এসে এই পদও কিনে নিতেন। কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রীর পদ নিলামে কেনা যায় না। এই প্রধানমন্ত্রীর পদ দেশের ১৩০ কোটি মানুষের আশীর্বাদে পাওয়া যায়।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিন বাংলায় গণতন্ত্রকে হাইজ্যাক করা হয়েছে বলেও মমতাকে খোঁচা দিয়েছেন মোদি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের শিক্ষা দিতে মনস্থির করে ফেলেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার অভিমত, বিরোধীদের মহাভেজাল জোটকে মানুষ ধাক্কা দেবে। দুর্নীতির মাপকাঠিতে তৃণমূল পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসকেও। তার অভিযোগ তৃণমূলের শাসনকালে বাংলায় দুর্নীতি ও অপরাধ হয়েই চলেছে।
মমতা ব্যনার্জির বাংলার উন্নয়ন মডেল নিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘মমতা সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন যে তার উন্নয়নের মডেল গোটা দেশে চালু করবেন। কিন্তু স্পিড ব্রেকার দিদির মডেল হল তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স মডেল। কয়লা মাফিয়া, বালু মাফিয়া ও জমি মাফিয়াই ওর নৈতিকতা। ওনার নৈতিকতা হল প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করা, পরে তাদের পশ্চিমবঙ্গের লুটের রুপির ভাগ দেওয়া।’দুই বাংলাদেশি অভিনেতাকে নিয়ে তৃণমূল তাদের দলীয় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে লাগানো নিয়েও মমতাকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ‘মমতা দিদির পায়ের তলার জমি সরে যাচ্ছে। ওনার সূর্য আর চমকাচ্ছে না, অস্তের দিকে যাচ্ছে। দিদি নিজেও এটা ভালই বুঝতে পারছেন। তৃণমূলের অবস্থা এমন হয়ে উঠেছে যে লোকেরা সমাবেশে আসছেন না। তাই বিদেশ থেকে চলচ্চিত্র শিল্পীদের ডেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এই দিদির ওপর আমার খুব দয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন ‘আগে অনুপ্রবেশকারীদের তিনি তাদের দলের ক্যাডার বানিয়েছেন আর এখন বিদেশীদের নিয়ে তার দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় লাগাচ্ছে। কিন্তু এই চৌকিদার পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করবেই করবে।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর