কথা বলায়ও এখন আর স্বাধীনতা নেই। একটু উচ্চস্বরে কথা বললেই গুলি করে দেবে। ভাবছেন, এটা কি কোন আইন? না কোন দেশের আইন নয়। তবে ভারতের পশ্চিম দিল্লির এক রেস্তোরাঁয় এ ঘটনাটিই ঘটেছে। উচ্চস্বরে কথা বলায় এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। তবে গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে গেছেন ওই তরুণ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে আজ সোমবার জানানো হয়, পশ্চিম দিল্লিতে গত শনিবার রাতে এক রেস্তোরাঁয় জগৎ ও তাঁর বন্ধুরা রাতের খাবার খেতে আসেন। কিন্তু তাদের খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানান দোকানমালিক। কারন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সময়ে তারা খাবার খেতে আসে। অন্য ক্রেতারা তখনো খাবার খাচ্ছেন দাবি করে খাবার চেয়ে ওই তরুণেরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পাশেই নিতেশ যাদব ও তাঁর বান্ধবী গাড়ির ভেতর বসে খাবার খাচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে জগৎকে ডেকে চুপ থাকতে বলেন নিতেশ। এবং বিবাদও মিটিয়ে ফেলতে বলেন। কিন্তু জগৎ তা না করে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিতেশ তাঁর কাছে থাকা পিস্তল বের করে জগৎকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
জগৎ পুলিশ ডেকে আনলে ঘটনাস্থল থেকে নিতেশ ও তাঁর বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ নিতেশের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে নিতেশ জানায়, 'আমার বাবা একজন সেনা কর্মকর্তা। এই পিস্তলটি আমার বাবার। জগৎকে আমি চড়া গলায় কথা বলতে নিসেধ করি এবং দোকানমালিকের সঙ্গে বিবাদ মীমাংসার প্রস্তাবও দেই। কিন্তু সে আমার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে। তাই আমি তাকে গুলি করি।'
এ ঘটনায় নিতেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।