সাধুবাবা তার শিষ্য দম্পতির নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাঁপানি ভালো করে দেওয়ার নাম করে তাকে ধর্ষন করা হয়। ভারতের রানাঘাটের কাছে গাংনাপুর থানায় দায়ের ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার বর্ধমানের মেমারি থেকে বীরেন বিশ্বাস নামে ওই 'সাধু'কে গ্রেফ্তার করেছে।
রাজ্যের বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি, বাঁকুড়া-সহ নানা জেলায় তার শিষ্য রয়েছে। শিষ্যদের কাছে তিনি বীরানন্দ বাবা নামে পরিচিত ছিলেন। গাংনাপুর থানা এলাকার যে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে, সেই মেয়েটির মা-বাবা দু'জনেই ধৃতের শিষ্য।
ওই দম্পতি পুলিশকে জানান যে, তাঁদের মেয়ের হাঁপানি ছিল। সেই রোগ ভালো করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গত বছর পুঁজার সময় তাঁদের মেয়েকে হুগলির উত্তরপাড়ায় একা পাঠিয়ে দিতে বলেন বীরেন। সেখান থেকে ফিরে আসার কয়েক মাস পর নাবালিকার শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুঝতে পারেন, তাঁদের গুরু ধর্ষণ করেছে মেয়েকে।
গত মাসে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। অবশেষে এদিন গ্রেফ্তার করা হয় গুরুকে।