বিষধর সাপের সঙ্গেই তার মিতালি! খেলাধুলা, আড্ডা- সবই তার সাপ নিয়ে। ভেনোমাস প্রজাতির বিষধর গোখরা সাপকে চুম্বন করছেন, ঠোঁটে ঠোঁট মেলাছেন। সাপের জিহ্বা নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে আনন্দ দিচ্ছেন দর্শকদের।
মালয়েশিয়ার তাইপেং শহরের বাসিন্দা সাপুড়ে আমজাদ খান চরম ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছেন। মালয়েশীয়দের কাছে তিনি ‘স্নেক প্রিন্স বা সর্প কুমার’ নামে পরিচিত। শহরের বিভিন্ন স্থানে এ খেলা দেখিয়ে থাকেন তিনি। শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, ‘ওয়াল্ড মোস্ট ট্যালেন্টেড’ টিভি সিরিজে ওই ‘দুর্ধর্ষ’ খেলা দেখিয়ে বিশ্ববাসীরও নজর কেড়েছেন তিনি। কুয়ালালামপুরে এ রকম একটি খেলা দেখাতে গিয়ে এই প্রজাতিরই এক গোখরার কামড়ে মারা যান তার বাবা। কিন্তু এরপরও বাবা-দাদার পেশাকে ছেড়ে দেননি তিনি।
আমজাদের বাবা আলী খান সামসুদ্দীন সাপ খেলা দেখিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখিয়েছিলেন এবং ৯৯ বার সাপের কামড় খাওয়ার পর মারা যান। দু’দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বংশ পরম্পরায় আমজাদ আলী চতুর্থ প্রজন্ম হিসেবে সাপের খেলা দেখিয়ে যাচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তা জেনেও ওই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকাকে খেলা দেখানোর আগে আমজাদ বলেন, ‘কিং কোবরা থেকে আমি মাত্র ১০ শতাংশ নিরাপদ। আমাকে অনেকবার কোবরা কামড়েছিল। চিকিৎসকরা এ রকম কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিল। কিন্তু আমি এটা না করে থাকতে পারি না।
সুত্রঃ ডেইল মেইল।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ