বাড়ি ফিরবেন কিন্তু বিমান ভাড়া দেয়ার টাকা নেই পকেটে। শেষে অভিনব কৌশল বের করে বাড়ি ফিরেছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রীড়াবিদ রেগ স্পায়ার্স।
লক্ষ্য ছিল ১৯৬৪ সালের অলিম্পিক্স। কিন্তু আচমকা চোট পেয়ে সেই সুযোগ প্রায় হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়। জখম সারাতে অস্ত্রোপচারের জন্য এরপর ইংল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন জ্যাবেলিন থ্রোয়ার স্পায়ার্স। কিন্তু চোট সারলেও অলিম্পিক্স অধরাই থেকে যায়। বাধ্য হয়ে এরপর বিমানবন্দরেই চাকরি জুটিয়ে নিয়ে বাড়ি ফেরার ভাড়া সঞ্চয় করতে থাকেন তিনি। কিন্ত পকেটমার হওয়ায় দেশে পৌঁছানোর শেষ আশাও নিভে যায়। তাই বাড়ি ফেরার এক অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেন স্পায়ার্স। এক বন্ধুর সাহায্যে কাঠের বাক্সে নিজেকেই ডাকযোগে বাড়ির ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এ অ্যাথলিট।
বড়সড় পার্সেলটি দেখে কারো সন্দেহ হয়নি যে ভেতরে জলজ্যান্ত এক মানুষ রয়েছে। দীর্ঘ আকাশপথে টিকে থাকতে বাক্সের ভিতর কম্বল, পোশাক, টিনজাত খাবার এবং ২টি বোতল সঙ্গে নিয়েছিলেন স্পায়ার্স। একটিতে ছিল পানীয় জল, অন্যটি প্রস্রাবের জন্য।
যখন বাক্সটি বিমানবন্দরের গুদামে রাখা হয় তখন সুযোগ বুঝে গুদামের দরজা গলে বাইরে বের হন স্পায়ার্স। তারপর ট্যাক্সি ডেকে সটান বাড়িতে পৌঁছান। তবে সব কিছু শুনেও বিশ্বাস করেননি গৃহকর্ত্রী।
সম্প্রতি রেগ স্পায়ার্সের চিত্তাকর্ষক জীবন কাহিনী অবলম্বনে বই লিখেছেন মার্কাস ম্যাকসর্লি। বিস্তারিত কি হয়েছিল তার জীবনে তা জানতে আপনাকে পড়তে হবে ম্যাকসর্লির লেখা বইটি।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব