মিশরের জনসাধারণের চোখে পিরামিড শ্রদ্ধার বস্তু। কারণ সেখানেই সংরক্ষিত আছে হাজার বছরের ইতিহাস। সংরক্ষিত আছে রাজ-রাজড়াদের মৃতদেহগুলো। পিরামিডগুলো সাধারণত গড়ে উঠেছিল তৎকালীন ফারাওদের সমাধিসৌধ হিসেবে। ফারাওদের মৃতদেহগুলো সরাসরি মাটি চাপা না দিয়ে মমি তৈরি করে পিরামিড বা সমাধিসৌধ নির্মাণ করা হত। বিশ্বের হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রতিবছর মিশরের রাজধানী কায়রোতে ছুটে যান পিরামিডগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আর তেমনই একজন বিদেশি নারী পর্যটক কায়রোর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত গিজা পিরামিডের পাশে গিয়ে গোপনে নির্মান করেছেন পর্ন ভিডিও! এ নিয়ে এখন মিশরজুড়ে তোলপাড় চলছে।
গত মঙ্গলবার মিশরের পুরাকীর্তি মন্ত্রী মামদুহ আল-ডামাতি এক বিবৃতিতে জানান, গিজা পিরামিডের পাশে এক বিদেশি নারী পর্যটক পর্ন ভিডিও নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তিনি পাবলিক প্রসিকিউটরকে এ বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত বছর ওই পর্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। গেল চলতি সপ্তাহে মিশরের স্থানীয় সংবাদপত্র আল মারসি আল ইয়ম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে নড়ে চড়ে ওঠে দেশটির পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়।
মিশরের ব্যক্তি মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যমটি তার প্রতিবেদনে জানায়, সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো গিজা পিরামিডের পাশে ভিডিও ধারণ করেন ওই নারী যা আপত্তিকর এবং উত্তেজনাপূর্ণ। ভিডিওটিতে ওই নারী রাশিয়ান ভাষায় কথা বলছিলেন।
মুসলিম অধ্যুষিত দেশ মিশরের লোকজন ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন ইন্টারনেটে তবে বেশিরভাগ মন্তব্যেই ছিল ভিডিওটির সমালোচনাপূর্ণ।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৫/ এস আহমেদ