হাতের ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে সদ্যজাতের আঙুল কেটে ফেলল এক নার্স। পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপি চুপি কাটা আঙুলটা ফেলে আসেন ডাস্টবিনে। ফের হাতে ব্যান্ডেজ করে চলে যান। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বালুরঘাটে।
সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে রিলিজ হবার সময় ব্যান্ডেজ খুলতেই সবার চোখ কপালে। শিশুটির হাতের বুড়ো আঙুলটি নেই। এ ঘটনার পরপরই হইচই পড়ে যায় পুরো হাসপাতালে। ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতাল মাথায় তোলেন শিশুটির অভিভাবকরা।
ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ৬ জুন আট দিনের শিশুকন্যাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বালুরঘাট থানার বাসুলের বাসিন্দা বাবলা মণ্ডল। চিকিত্সার জন্য শিশুটিকে নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন সকালে পরিবারের লোকজন শিশুটির বাঁ হাতের আঙুলে ব্যান্ডেজ বাঁধা দেখেন। ব্যান্ডেজ খুলতেই দেখা যায় তার হাতের আঙুল কাটা।
অভিযোগ, রবিবার রাত সোয়া ১০টা নাগাদ স্যালাইনের চ্যানেলের জায়গায় বাঁধা ব্যান্ডেজ খুলতে আসেন রাখি সরকার নামে এক নার্স। ব্যান্ডেজ খুলতে গিয়ে ওই সদ্যজাতের বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলেন তিনি। শিশুটির পরিবারের আরও অভিযোগ, এই ঘটনার কথা তাঁদের না জানিয়ে কাটা আঙুলটি ডাস্টবিনে ফেলে দেন অভিযুক্ত ওই নার্স। এমনকী চিকিত্সকদেরও এই ঘটনার কথা জানাননি তিনি। পরে এই বিষয়টি শিশুর পরিবারের চোখে পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালে। পুলিশ এসে পরিস্থতি সামাল দেয়। পরে হাসপাতাল সুপার তাপস বিশ্বাস এই ঘটনার কথা স্বীকার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি শিশুটির যাবতীয় খরচ বহন করার কথা জানান। শিশুটির চিকিত্সার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ