পেটে করে ইয়াবা পাচার করার সময় এক ব্যবসায়ীকে আটকের পর তার পেট থেকে সাড়ে তিন'শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সে ৯শ পিচ ইয়াবা পেটে বহন করছিল বলে স্বীকার করেছে।
গাজীপুর ডিবি (ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ) পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন জানান, এক হাজার পিছ ইয়াবা বহনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে নূরুল ইসলাম (২৫) ও নূরুল ইসলামকে (৩০) আটক করা হয়। জেলার শ্রীপুরে এক নারী ব্যবসায়ীর কাছে ইয়াবাগুলো সরবরাহ করার কথা ছিল।
নূরুল ইসলাম (৩০) কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বালুগালি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং নূরুল ইসলাম (২৫) হাছেন আলীর ছেলে। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর ডিবি (ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ) পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোখলেছুর রহমান জানান, পেট থেকে বের করা ইয়াবাগুলো প্রথমে সাদা পলিথিন, সাদা স্কচটেপ, কালো স্কচটেপ এবং সবশেষে কনডম দিয়ে মোড়ানো ছিল। নুরুল ইসলামের (৩০) মোট ৯শ পিচ খেয়েছিল। আগেই সাড়ে ৫শ পিচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্রি করেছে। বাকি সাড়ে ৩শ পিচ পেটেই ছিল।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুস ছালাম জানান, একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে মল তরল করার জন্য নূরুল ইসলামকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে পাতলা মলের মধ্যে সেগুলো বেরিয়ে আসে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন