ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় একটি লাড্ডু কম পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক ব্যক্তি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভিন্দ জেলার এক গ্রামে, যা এখন গ্রাম ছাড়িয়ে সারা ভারতে আলোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে পতাকা উত্তোলনের পর। অনুষ্ঠান শেষে যখন লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছিল, তখন কমলেশ খুশবাহা নামের ওই ব্যক্তিকে একটি মাত্র লাড্ডু দেওয়া হয়। তিনি আরেকটি লাড্ডু চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এতে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে পঞ্চায়েত ভবনের বাইরে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে কল করে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন যে, পঞ্চায়েত মিষ্টি বিতরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পঞ্চায়েত সচিব রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ওই ব্যক্তি দুটি লাড্ডুর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন এবং না পেয়ে হেল্পলাইনে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তাকে শান্ত করতে পঞ্চায়েত এক কেজি মিষ্টি কিনে দেয়।
এই ধরনের ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতেও একই জেলার আরেক ব্যক্তি একটি ত্রুটিপূর্ণ টিউবওয়েল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে তিনি অভিযোগকারীকে 'পাগল' এবং 'মৃগীরোগী' বলে উল্লেখ করেন।
এই মন্তব্যের পর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে তিনি দাবি করেন যে তার আইডি হ্যাক করা হয়েছিল। এই পুরোনো ঘটনাটিও প্রমাণ করে যে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর প্রবণতা এবং কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়ার ধরণ নিয়ে আগেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ